ভিবি নিউজ ডেস্ক: তোফায়েল আহম্মদ
পিতা: মৃত ফজলুল হক, গ্রাম -পশ্চিম লক্ষ্মীপুর,ডাকঘর-দালাল বাজার,জেলা-লক্ষ্মীপুর, জন্ম-২০ জুন ১৯৪৯ ইং। মৃত্যু ১৯৯৮ ইং।
তোফায়েল আহম্মদ ১৯৭১ সালে লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজের ছাত্র ছিলেন।স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। ১৯৬৫ সালে এস এস সি পাশ করে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ১৯৬৬-এর ৬ দফা আন্দোলন,১৯৬৯ এর গণআন্দোলন এবং ১৯৭০ এর সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি কারা বরন করেন।
মার্চ মাসের শুরু থেকে তিনি এবং এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে ছাত্র যুবকদের বাঁশের লাঠি ও দেশি বন্দুক নিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু করেন। ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণার পর তিনি ছাত্র-যুবকদের সাথে নিয়ে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে চোত্তাখোলা ক্যাম্পে যোগ দেন। সেখান থেকে মেলাম্বর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যোগ দেন। জুন মাসে তিনি ৬০ জন যুবকের সাথে পলাশী নী-কমান্ডো প্রশিক্ষ ক্যাম্পে চলে আসেন।
এখানে তিন মাস কঠোর প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর ১৫ আগস্ট অপারেশন জ্যাকপটের অধীন চট্টগ্রাম বন্দর অভিযানে অংশ নেন। এ অপারেশনে মোট ৬০ জন নৌ-কম্যান্ডোকে পাঠানো হয়। দলনেতা ছিলেন সাবমেরিনার আবদুর ওয়াহেদ চৌধুরী। হরিণা থেকে হেঁটে ও নৌকায় মিরসরাই পৌঁছে ৬০ জন কম্যান্ডোকে তিন দলে ভাগ করে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। সম্মুখের যাত্রা বিপদসঙ্কুল। চারদিকে শত্রু। যেতে হবে বাসে। তিন গ্রুপের তিনজন সহ-অধিনায়ক মনোনীত করা হয় মাজহারউল্লাহ বীরউত্তম, ডা. শাহ আলম বীরউত্তম এবং রশিদ আহমদ। মাজহারউল্লাহর পায়ে খেজুর গাছের কাঁটা ফোটাতে তিনি যুদ্ধ থেকে বিরত থাকেন। ফলে তাঁর দলের অনেকে ছেড়ে বাড়ি চলে যান। তারা মিরসরাই থানার অধিবাসী ছিলেন। ডা. শাহ আলম, এ. ডব্লিউ চৌধুরী ও খোরশেদ বীরপ্রতীক অ্যাম্বুলেন্সে চেপে চট্টগ্রাম পৌঁছেন। রশিদ আহমদ সমুদ্রতীর পৌছে নিখোঁজ হয়ে যান।
সূত্র- মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো ও নাবিক কোষ খলিলুর রহমান।