সংবাদ শিরোনামঃ
জনগনের সুস্বাস্থ্যের জন্য চাই নিরাপদ খাদ্য রায়পুরে  সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে লুটপাট ও মাছ ঘাট দখলের অভিযোগ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজার ইউনিয়ন বিএনপির মাধ্যমে পানিবন্ধীদের ত্রান বিতরন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীদের নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন “ লক্ষ্মীপুরে কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে শিক্ষক- কর্মচারীদের বিক্ষোভ বাংলাদেশের মুমূর্ষু শিশু শুভমকে নতুন জীবন দিয়েছেন ভারতের ডাঃ সঞ্জীব দেববর্মণ কোটা আন্দোলনে মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরে সরকারি ঔষধ ফার্মেসিতে! এযেন সর্ষের মধ্যে “ভুত “ লক্ষ্মীপুরে কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অবশেষে লক্ষ্মীপুরে বাল্য বিবাহ রোধে অগ্রনী ভূমিকা রাখলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জোবায়েদা খানম শিমুল সাহা, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত লক্ষ্মীপুরে গ্রামীন সড়কে ড্রামট্রাকে  মেম্বারের বালু ব্যবসা, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি মামলা দেয়ার হুমকি রায়পুরে কিশোরী অপহরণ মামলায় দীপেন ও জহির গ্রেপ্তার  লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ, নির্গত দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ লক্ষ্মীপুরে শিক্ষক- শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ
মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণকারী তোফায়েল আহম্মদ, (নৌ কমান্ডো নং ০১৬২)

মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণকারী তোফায়েল আহম্মদ, (নৌ কমান্ডো নং ০১৬২)

ভিবি নিউজ ডেস্ক: তোফায়েল আহম্মদ
পিতা: মৃত ফজলুল হক, গ্রাম -পশ্চিম লক্ষ্মীপুর,ডাকঘর-দালাল বাজার,জেলা-লক্ষ্মীপুর, জন্ম-২০ জুন ১৯৪৯ ইং। মৃত্যু ১৯৯৮ ইং।

তোফায়েল আহম্মদ ১৯৭১ সালে লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজের ছাত্র ছিলেন।স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। ১৯৬৫ সালে এস এস সি পাশ করে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ১৯৬৬-এর ৬ দফা আন্দোলন,১৯৬৯ এর গণআন্দোলন এবং ১৯৭০ এর সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি কারা বরন করেন।

মার্চ মাসের শুরু থেকে তিনি এবং এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে ছাত্র যুবকদের বাঁশের লাঠি ও দেশি বন্দুক নিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু করেন। ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণার পর তিনি ছাত্র-যুবকদের সাথে নিয়ে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে চোত্তাখোলা ক্যাম্পে যোগ দেন। সেখান থেকে মেলাম্বর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যোগ দেন। জুন মাসে তিনি ৬০ জন যুবকের সাথে পলাশী নী-কমান্ডো প্রশিক্ষ ক্যাম্পে চলে আসেন।

এখানে তিন মাস কঠোর প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর ১৫ আগস্ট অপারেশন জ্যাকপটের অধীন চট্টগ্রাম বন্দর অভিযানে অংশ নেন। এ অপারেশনে মোট ৬০ জন নৌ-কম্যান্ডোকে পাঠানো হয়। দলনেতা ছিলেন সাবমেরিনার আবদুর ওয়াহেদ চৌধুরী। হরিণা থেকে হেঁটে ও নৌকায় মিরসরাই পৌঁছে ৬০ জন কম্যান্ডোকে তিন দলে ভাগ করে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। সম্মুখের যাত্রা বিপদসঙ্কুল। চারদিকে শত্রু। যেতে হবে বাসে। তিন গ্রুপের তিনজন সহ-অধিনায়ক মনোনীত করা হয় মাজহারউল্লাহ বীরউত্তম, ডা. শাহ আলম বীরউত্তম এবং রশিদ আহমদ। মাজহারউল্লাহর পায়ে খেজুর গাছের কাঁটা ফোটাতে তিনি যুদ্ধ থেকে বিরত থাকেন। ফলে তাঁর দলের অনেকে ছেড়ে বাড়ি চলে যান। তারা মিরসরাই থানার অধিবাসী ছিলেন। ডা. শাহ আলম, এ. ডব্লিউ চৌধুরী ও খোরশেদ বীরপ্রতীক অ্যাম্বুলেন্সে চেপে চট্টগ্রাম পৌঁছেন। রশিদ আহমদ সমুদ্রতীর পৌছে নিখোঁজ হয়ে যান।
সূত্র- মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো ও নাবিক কোষ খলিলুর রহমান।


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com