ভিবি নিউজ ডেস্ক ঃ
মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে চাকুরী করছেন সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার চাঁদ মিটুয়ানী গ্রামের জয়নাল মাষ্টারের ৬ সন্তান। জয়নাল মাষ্টার নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে শাহজাদপুর সংবাদ ডটকমকে বলেন, আমি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেইনি তবে মুক্তিযোদ্ধাদের আমার বাড়ীতে আশ্রয় দিয়েছি। তাই ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে সাবেক কমান্ডার শহিদুর রেজা আমাকে সার্টিফিকেট দিয়েছে এবং পরে আরো কয়েক দফা টাকা নিয়েছে। এই সার্টিফিকেটে আমার ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে সরকারী চাকরি করে ।
৬ সন্তানের এক জন মাষ্টার, দুই জন হেলর্থ, একজন পুলিশে এবং দুই মেয়ে চাকুরী করছে। এখন সবাই জানতে পারলে আমার নামে মামলা হবে, ছেলে মেয়ে চাকুরী থাকবে না তারাও হবে আসামী। তাই আমি সরকারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং সরকার যেন আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দেয় তাইলে আমার সন্তানদের চাকুরী থাকবে। তবে স্থানীয়রা মুক্তিযোদ্ধারা জানান, জয়নাল মাষ্টার যে মুক্তিযোদ্ধা এটা কখনো শোনেননি তারা। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে চাকুরীর ঘটনা এটাই প্রথম না হলেও এক সঙ্গে এক পরিবারের ৬ জনের এটাই প্রথম।
এছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও এমন ঘটনা আছে বলে জানান। অভিযুক্ত সাবেক থানা কমান্ডার শহিদুর রেজার বাড়িতে গেলে দেখা যায়, পুরো বাড়ি তালা দিয়ে পলাতক রয়েছে পুরো পরিবার। এব্যাপারে বেলকুচির বর্তমান থানা কমান্ডার গাজী নজরুল ইসলাম জানান, এই এলাকায় অন্তত শতাধিক জাল সার্টিফিকেট দিয়েছেন সাবেক কমান্ডার। জয়নাল মাষ্টার এই জাল সার্টিফিকেট নিয়েছে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জানান, দীর্ঘ দিন থেকেই এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বেলকুচির সাবেক কমান্ডারকে শহিদুর রেজাকে বরখাস্ত করে তার সনদ বাতিল করা হয়েছে। পাবনা দূর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মোঃ আবুবকর সিদ্দিক জানান, আমরা এই বিষয়টি তদন্ত করছি। এই জাল সার্টিফিকেট বিক্রির বিশাল চক্র সারা দেশ ব্যপী থাকতে পারে এজন্য আমরা জালিয়াতির চক্রকে ধরার চেষ্টা করছি।