- ভিবি নিউজ-ক্যানসার যন্ত্রণার কাতরতা ভুলে তিনি বার বার সহধর্মিণী ও চিকিৎসকদের বলছিলেন, ‘আমি দেশে যাবো, ব্যবস্থা করো যেভাবেই হোক। আমি আমার জন্মগ্রামে যাবো। আমি আমার দেশেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে চাই, বিদেশে নয়। এমনকি বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিজেই ফোন দিয়ে বলেছেন, “কালই আমার ফেরার টিকিট করে দিন। আমি জীবিত অবস্থায়ই আমার জন্মভূমিতে যেতে চাই, সেখানেই মরতে চাই। মরার পর আপনাদের ও অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে”।
অবশেষে মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে তিনি দেশে ফিরেছেন, গেছেন নিজের জন্মশহরে। সবটাই করেছেন খুব নীরবে, নিজ সিদ্ধান্তে। তবে কি তিনি বুঝতে পেরেছেন তাঁর সময় শেষ হয়ে আসছে৷তার দেশে বিদেশে অনেক অনেক ভক্ত। তারা ভাবতেই পারে না ,ভাবতে চায় ও না।
সুরের এই রাজাধিরাজ আপনি আপনার মনোবল অটুট রাখুন, চোখ খুলুন, কথা বলুন প্লিজ আপনাকে আবার গাইতেই হবে আপনার সেই চিরচেনা গান। আমরা ও সুরে সুরে বলতে চাই, ও শসাথী রে যেওনা দুরে…
উল্লেখ্য, দেশের এই প্লেবাক প্রবাদ পুরুষ শিল্পীর গত দুদিন ধরে শারীরিক অবনতি ঘটে কথা বন্ধ হয়ে যায়, দেখা যায় বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা।
আসুন আমরা এই মহান শিল্পীর দ্রুত শারীরিক সুস্থতা কামনা করি। ফিরে আসুন সুরের এই বরপুত্র৷
এন্ড্রু কিশোর (জন্ম ৪ নভেম্বর ১৯৫৫) একজন বাংলাদেশী গায়ক।তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। যেজন্য তিনি ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙের ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যে খানে, আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান, ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা, সবাই তো ভালোবাসা চায় প্রভৃতি।বাংলা চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য তিনি আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। বর্তমানে তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরের একটি নামী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।