ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে গুড়ের কারখানা নবাবগঞ্জে আখের রসে চিনি মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরির রমরমা ব্যবসা

ভিবি নিউজ ডেস্কঃ

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম এ সাজেদুল ইসলাম (সাগর)

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে গ্রামঅঞ্চলে যত্রতত্র ভেজাল গুড় তৈরি করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার যেখানে সেখানে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে গুড় তৈরির কারখানা। এসব কারখানায় অধিক লাভ করতে আখের রসের সাথে চিনি ও রং মিশিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে গুড়। সেই গুড় যাচ্ছে নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে। সরেজমিনে উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের কপালদাড়া ও কলমদারপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকটি গুড় তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। কপালদাড়া গ্রামের এরশাদ আলী তার বাড়ির সামনে বসানো কারখানায় গুড় তৈরি করছে। গুড় তৈরির সময় সে (নালি) তরল গুড়ের ভিতরে বস্তায় বস্তায় চিনি ঢালছে। গুড় তৈরিতে চিনি কেন দেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, চিনি দিলে গুড়টি জমবে তাড়াতাড়ি। তার পাশ্র্বেই গফুর আলীর কারখানায় আখের রস গরম করতে দেখা যায়। গফুর আলী জানালেন অন্যরা যা করেন তিনি তা করেন না। আখের রস দিয়েই তিনি গুড় তৈরি করেন বলে তার দাবি।

ওই এলাকায় প্রায় ১০টি গুড় তৈরির কারখানা রয়েছে। গুড় তৈরিতে চিনি ও রং মেশানোর কথা অস্বীকার করে বলেন গুড় পরিষ্কার করতে এক প্রকার গাছের পাতা ও ছাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আখচাষী জানালেন, গুড়ের কারখানার মালিকেরা জমি থেকে প্রায় ৪শ টাকা কুইন্টাল হিসাবে আখ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। ওই আখের রসের সাথে চিনি ও রং মিশিয়ে গুড় তৈরি করছে। এতে করে চিনি দিয়ে গুড় তৈরি করে তারা বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারছে। কেননা চিনির চেয়ে গুড়ের বাজার মূল্য বেশি।

উল্লেখ্য, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গুড়গুলি তৈরি করা হচ্ছে। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল গুড় তৈরিতে কারখানা মালিকেরা বেপরোয়া হয়ে উঠলেও সেদিকে কারো নজর নাই। এলাকার সচেতন মহলের অভিমত ভেজাল রোধে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত ও জনস্বার্থে বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সেনেটারী ইন্সপেকটার মো. মোকছেদুল মোমিন জানান অচিরেই গুড় কারখানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *