সংবাদ শিরোনামঃ
জনগনের সুস্বাস্থ্যের জন্য চাই নিরাপদ খাদ্য রায়পুরে  সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে লুটপাট ও মাছ ঘাট দখলের অভিযোগ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজার ইউনিয়ন বিএনপির মাধ্যমে পানিবন্ধীদের ত্রান বিতরন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীদের নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন “ লক্ষ্মীপুরে কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে শিক্ষক- কর্মচারীদের বিক্ষোভ বাংলাদেশের মুমূর্ষু শিশু শুভমকে নতুন জীবন দিয়েছেন ভারতের ডাঃ সঞ্জীব দেববর্মণ কোটা আন্দোলনে মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরে সরকারি ঔষধ ফার্মেসিতে! এযেন সর্ষের মধ্যে “ভুত “ লক্ষ্মীপুরে কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অবশেষে লক্ষ্মীপুরে বাল্য বিবাহ রোধে অগ্রনী ভূমিকা রাখলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জোবায়েদা খানম শিমুল সাহা, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত লক্ষ্মীপুরে গ্রামীন সড়কে ড্রামট্রাকে  মেম্বারের বালু ব্যবসা, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি মামলা দেয়ার হুমকি রায়পুরে কিশোরী অপহরণ মামলায় দীপেন ও জহির গ্রেপ্তার  লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ, নির্গত দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ লক্ষ্মীপুরে শিক্ষক- শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশু সন্তানকে খুন করলেন বাবা

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশু সন্তানকে খুন করলেন বাবা

বিশেষ প্রতিনিধি ঃলক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বাবার হাতেই খুন হয় দেড় বছর বয়সী শিশুকন্যা ফারহানা আক্তার রাহিমা।

আজ সোমবার (১১ মে) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন।

এর আগে দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রায়হান চৌধুরীর আদালতে ১৬৪ ধারায় খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন নিজ সন্তান হত্যাকারী ঘাতক পিতা ফয়েজ আহাম্মদ মনু (৪৫)। ঘাতক মনু চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্বরাজাপুর গ্রামের মৃত হোসেন চোরা ওরফে খোরশেদ আলমের ছেলে।

আদালতে দোষ স্বীকার করে ঘাতক ফয়েজ আহাম্মদ মনু খুনের বর্ণনা দিতে গিয়ে জানায়, পাশের বাড়ির মতিনদের সাথে জমি পরিমাপ এবং বিদ্যুতের লাইন টানা নিয়ে তার সাথে আগে থেকে বিরোধ চলছিল। তাদেরকে হত্যা মামলায় ফাঁসাতেই নিজের শিশুকন্যাকে হত্যার একক পরিকল্পনা নেয় মনু। গত ৫ মে দুপুর ১২টার দিকে বাড়িতে খেলাধুলা করছিল শিশু রাহিমা। এসময় সবার অজান্তে রাহিমাকে কোলে তুলে বাড়ি থেকে একটু দূরে নির্জন ঝোঁপের কাছে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সেখানেই লুকিয়ে রাখে। এরপর বাড়িতে এসে তার মেয়ে হারিয়ে গেছে বলে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন সবাই। সারাদিন চলে যাওয়ার পর রাত ১০টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মেয়ে হারানোর সাধারণ ডায়রি করেন পিতা মনু নিজেই। এরপর পুলিশসহ বাড়ির আশপাশের বিভিন্নস্থানে শিশু রাহিমাকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু তাকে আর পাওয়া যায়নি।

৮ মে শুক্রবার রাত ১২টার পরে শিশু রাহিমার লাশ ওই ঝোঁপের থেকে নিয়ে এসে নিজবাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেয় পিতা মনু নিজেই। পরদিন শনিবার সকাল ৭টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ফোনে খবর দেয় তার মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে তার বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকিতে। এরপর পুলিশ এসে সেপটিক ট্যাংকি থেকে শিশু রাহিমার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় শিশু রাহিমার মা’ রাশেদা আক্তার সুমি বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন বলেন, জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান স্যারের দিক নির্দেশনায় শিশুকন্যা রাহিমা হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। খুনের যাবতীয় পরিকল্পনা ও মরদেহ গুমের বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক পিতা ফয়েজ আহাম্মদ মনু।
(সংগৃহীত আর টিভি অনলাইন ১১ মে)


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com