মানুষের বেঁচে থাকার জন্য গাছ যেন এক মাতৃত্বের ভূমিকা পালন করে। আর সেই মাতৃত্বের ভালোবাসা স্বরূপ গাছ মানুষের ত্যাগকৃত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে, মানুষের জন্য অক্সিজেন ত্যাগ করে। গাছ মানুষের বন্ধু। তাই গাছ নিধনের জন্য কিছু বিধিনিষেধ থাকা জরুরি। না হলে পরিবেশ ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবে না।
লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে পূর্বে নোয়াখালী ও উত্তর পশ্চিমে চাঁদপুর অভিমুখে রওনা দিলে দেখা যায় গাছ কাটার দৃশ্য গুলো। এখানে যেন গাছ কাটার মহোৎসব হয়েছে। সড়কের পাশে গাছগুলো নিধন যেন প্রাকৃতিকভাবে জেলাবাসিকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। তাছাড়া পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তুলছে। সড়কের পাশে গাছ না থাকলে, সড়কে দুর্ঘটনা হতে পারে। যদি সড়কের পাশে গাছের ডালপালাগুলো অতিরিক্ত হয় তবে তা কেটে দিয়ে যানবাহন চলার সুবিধা করে দিতে হবে কিন্তু একাধারে সড়কের গাছ কাটার মাধ্যমে সড়ককে যেমন দুর্ঘটনার মুখে ফেলে দেয়, পাশাপাশি পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। শতবর্ষী রাস্তার পাশ্বে বেড়ে উঠা বিভিন্ন প্রজাতি এই কড়ই গাছগুলো যেন এখন আশীর্বাদের পরিবর্তে কাঁটার কারণে অভিশাপ দিয়ে যাচ্ছে। সাথে সাথে আরও উষ্ণ করে তুলছে।
জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ২০২৩ স্লোগান ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি। আর পরিবেশকে রক্ষা করতে গাছ লাগানো প্রয়োজন। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন গাছগুলো কাটা বন্ধ করে, পরিবেশকে ভালো রাখতে সহযোগিতা করে।