নারায়ণগঞ্জে মৃত কিশোরীর জীবিত ফিরে আসার ঘটনায় বিচারিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন হাইকোর্টে দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে পুলিশ হেফাজতে (রিমান্ডে) থাকার সময়ে তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম আল মামুনের বিরুদ্ধে আসামিদের মারধর, ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে স্বীকারোক্তি প্রদানে বাধ্য করার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ রয়েছে, আইন অনুসারে আসামিদের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটদের কোনো অনিয়ম বিচারিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেয়া হয়। শুনানি নিয়ে আদালত ১৩ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন রেখেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন।
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে কথিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর আগে গত বছরের ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়।
গত বছরের ৪ জুলাই ১৫ বছর বয়সী কিশোরী নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন তাকে না পেয়ে থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও পরে মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ আবদুল্লাহ, রকিব ও খলিলুর রহমানকে গ্রেফতার করে। তারা কিশোরীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা গত ৯ আগস্ট আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে ‘স্বীকার করেন’। ঘটনার ৫১ দিন পর গত ২৩ আগস্ট ওই কিশোরী ফিরে আসে। কিশোরী আদালতকে বলে, ইকবাল নামের এক যুবককে বিয়ে করে বন্দর এলাকার এক ভাড়া বাড়িতে সংসার করছে সে।