দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিক্রির জন্য ভ্রাম্যমাণ দোকান চালু করেছে ফরিদপুর যুবলীগ; যেখানে ‘২০ থেকে ৩০ শতাংশ কম’ পাওয়া যাচ্ছে নিত্যপণ্য।

দুনিয়াজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের প্রায় সবকিছু বন্ধ রয়েছে। সরকার সবাইকে ঘরে থাকতে বলেছে। ফলে অনেক জায়গায় নিত্যপণ্য কিনতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এই সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যুবলীগ এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এইচএম ফোয়াদ।

জেলা শহরের মাস্টার কলোনির হায়দার আলী নামে একজন ক্রেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যুবলীগের এই দোকান থেকে বাজার দরের চেয়ে কম দামে নিত্যপণ্য কিনতে পেরেছি। এছাড়া বাজারে যেতে হলে রিকশা পাওয়া যেতো কিনা সন্দেহ। হেঁটে যেতে অনেক কষ্ট করতে হত।”

শহরের বিভিন্ন মহল্লায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তুলনামুলক কম দামে নিত্যপণ্য কিনতে পেরে সাধারণ মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পাচ্ছে। অনেকেই যুবলীগের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

যুবলীগ নেতা এইচএম ফোয়াদ বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে যুবলীগের নেতাকর্মীরা চাঁদা দিয়ে একটি তহবিল করেছিল। আমরা সেই টাকা দিয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছি। এটি কোনো ব্যবসাকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা না। সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের সুবিধার্থেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।”

দরদাম বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে প্রতি কেজি চিকন চাল বিক্রি করা হচ্ছে ৩৮ টাকা দরে। ডাল ৭০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৮ টাকা, আলু ১৯ টাকা, পেঁয়াজ ৩২ টাকা, লবণ ১৫ টাকা, ডিমের হালি ২৪ টাকা, আটা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

“এটা বাজার দরের চাইতে ‘২০ থেকে ৩০ পার্সেন্ট কম।”

যখন যেখানে এই ভ্রাম্যমাণ দোকান যাচ্ছে সেখানে মাইকিং করা হচ্ছে। তখন ক্রেতারা ঘর থেকে বের হয়ে কেনাকাটা করছেন।

জেলা শহরের ২৭টি ওয়ার্ডে তিনটি ট্রাকে করে এসব নিত্যপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান যুবলীগ নেতা এইচএম ফোয়াদ।

তিনি বলেন, তাদের দোকান থেকে জিনিস কিনতে হলে মাস্ক পরে আসতে হয়। তা না হলে কারও কাছে তারা কিছু বিক্রি করেন না। এছাড়া একজনের কাছে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *