সংবাদ শিরোনামঃ
লক্ষ্মীপুরে সরকারি ঔষধ ফার্মেসিতে! এযেন সর্ষের মধ্যে “ভুত “ লক্ষ্মীপুরে কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অবশেষে লক্ষ্মীপুরে বাল্য বিবাহ রোধে অগ্রনী ভূমিকা রাখলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জোবায়েদা খানম শিমুল সাহা, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত লক্ষ্মীপুরে গ্রামীন সড়কে ড্রামট্রাকে  মেম্বারের বালু ব্যবসা, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি মামলা দেয়ার হুমকি রায়পুরে কিশোরী অপহরণ মামলায় দীপেন ও জহির গ্রেপ্তার  লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ, নির্গত দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ লক্ষ্মীপুরে শিক্ষক- শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নে স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্ক, শিক্ষিকার স্বামীর অভিযোগ লক্ষ্মীপুর ২ আসনের মানবিক এমপি নুরউদ্দিন আলিফ মীম হাসপাতালের শেয়ার হোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি জেলা বিএমএ ও স্বাচিপের সভাপতি ডা: জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ না নিতে এমপি আনোয়ার খাঁনকে চিঠি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এডভোকেট রহমত উল্যাহ বিপ্লবের কিছু কথা লক্ষ্মীপুরের কৃতিসন্তান আনোয়ারুল হক ছলেমা খাতুন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কামাল ফার্মারের  জন্মদিনে তিনি সকলের আশির্বাদ /দোয়া প্রার্থী লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি ইউপি নির্বাচনে মীর শাহআলম চেয়ারম্যান নির্বাচিত
দেশে করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে

দেশে করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে

ভিবি নিউজ ডেস্ক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরো দুই হাজার ২৬৫ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৯২ হাজার ৬২৫ জনে। এ নিয়ে আক্রান্তের বৈশ্বিক তালিকায় পাকিস্তানকে টপকে গেছে বাংলাদেশ। উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে উঠে এসেছে দ্বিতীয়স্থানে। এদিকে, গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার ১৭৪ জন। যা বাংলাদেশের তুলনায় সাড়ে চারশ কম। অন্যদিকে, উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে আছে ভারত। শনাক্ত সংখ্যা ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের বৈশ্বিক তালিকায় তৃতীয়স্থানে আছে দেশটি। বিশ্বে শীর্ষে দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটাই দেশে চূড়ান্ত সংক্রমণ। এটাকে বলা হয় ‘প্লাটু পিক’ অর্থাৎ মালভূমি চূড়া। করোনা রোগী শনাক্ত করে আইসোলেশনে না নিতে পারলে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না বলেও মনে করেন তারা।

গতকাল শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে সরকারি হিসেবে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯২ হাজার ৬২৫ জন। এর মধ্যদিয়ে করোনা আক্রান্তের বৈশ্বিক তালিকায় পঞ্চদশ স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

এদিকে, মে মাসের শেষ দিক থেকে দেশে করোনাসংক্রমণ ও মৃত্যু দিন দিন বেড়েই চলছে। লকডাউনসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে সংক্রমণের রাশ কিছুটা টানা গেলেও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা। প্রায় দুই মাস ধরে সংক্রমণ হার ২০-২৫ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ উদ্যোগের ধীরগতিতে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত, বাড়ছে মৃত্যু। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং কভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত দৈনিক জনতাকে বলেন, গত মে মাসের ২৫ তারিখ থেকেই দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ২০ শতাংশে পৌঁছেছে। এর পরে সংক্রমণ হার ২০-২৫ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করছে। এটাই দেশে চূড়ান্ত সংক্রমণ। এটাকে বলা হয় ‘প্লাটু পিক’ অর্থাৎ মালভূমি চূড়া। এই ধরনের সংক্রমণ একেবারে অনেক উপরে উঠে নেমে যায় না। বরং দীর্ঘদিন একই সমান্তরালে আক্রান্তের হার চলতে থাকে। তিনি আরো বলেন, করোনা রোগী শনাক্ত করে আইসোলেশনে না নিতে পারলে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না। লকডাউনের কারণে এক ধাক্কায় সংক্রমণ বাড়েনি ঠিকই কিন্তু এখন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ওপর জোর না দেয়ায় রোগী প্রতিদিনই বাড়ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি প্রতিবেদন অনুসারে রোগতাত্তি্বক সপ্তাহ ৩৪ অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। সংস্থাটির গত মঙ্গলবার প্রকাশ করা ৩৩তম সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের সপ্তাহের (৩২তম) তুলনায় বাংলাদেশে শনাক্ত বেড়েছে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মৃত্যু বেড়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সুস্থতা কমেছে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে আক্রান্ত বহাল থাকার হার বেড়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনা ব্রিফিং সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মে দেশে ৪৮টি পরীক্ষাগারে ৫ হাজার ৪০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে আক্রান্ত হয় ১ হাজার ১৬৬ জন। শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ১ জুন ৫২টি পরীক্ষাগারে ১১ হাজার ৪৩৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৮১ জন। ওইদিন পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৯ হাজার ৫৩৪ জন। করোনা শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ৮১ শতাংশ। ১ জুলাই ৬৯টি পরীক্ষাগারে ১৭ হাজার ৮৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭৭৫ জন। ওইদিন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৮ জন এবং মারা গিয়েছিলেন ৬৭২ জন। শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ১২ শতাংশ। ১ আগস্ট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ হাজার ৬৮৪টি। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮৬ জন। ওইদিন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬০ জন। শনাক্তের হার ছিল ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। গত শুক্রবার ৯১টি পরীক্ষাগারে ১৪ হাজার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৮৬৮ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর গতকাল শনিবার ৯১টি পরীক্ষাগারে ১০ হাজার ৫৯৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ১১ হজার ৩৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ২ হাজার ২৬৫ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৯২ হাজার ৬২৫ জন। দেখা যায়, দুই মাস ধরে শনাক্ত হার ২০-২৫ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে হঠাৎ করে সংক্রমণ না বাড়ায় ওভাবে পিক পাওয়া যায়নি। ইউরোপ, আমেরিকার মতো দেশগুলোতে যেভাবে হুট করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে পিকে পৌঁছে আবার কমে গেছে এখানে সে রকম হবে না। দেশে করোনা সংক্রমণ দ্বিতীয় স্তরে পৌঁছালে লকডাউনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ায় সংক্রমণ এক ধাক্কায় বাড়তে পারেনি। এই ব্যবস্থায় পিকের মাথা ছেঁটে দেয়া হয়েছে। কিন্তু রোগী শনাক্ত, কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং, আইসোলেশনে জোর না দেয়ায় এক সমান্তরালে রোগী বাড়ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ২১ আগস্ট পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯০৪ জন এবং এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৫ হাজার ৩১৪ জন।


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com