সংবাদ শিরোনামঃ
জনগনের সুস্বাস্থ্যের জন্য চাই নিরাপদ খাদ্য রায়পুরে  সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে লুটপাট ও মাছ ঘাট দখলের অভিযোগ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজার ইউনিয়ন বিএনপির মাধ্যমে পানিবন্ধীদের ত্রান বিতরন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীদের নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন “ লক্ষ্মীপুরে কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে শিক্ষক- কর্মচারীদের বিক্ষোভ বাংলাদেশের মুমূর্ষু শিশু শুভমকে নতুন জীবন দিয়েছেন ভারতের ডাঃ সঞ্জীব দেববর্মণ কোটা আন্দোলনে মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরে সরকারি ঔষধ ফার্মেসিতে! এযেন সর্ষের মধ্যে “ভুত “ লক্ষ্মীপুরে কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অবশেষে লক্ষ্মীপুরে বাল্য বিবাহ রোধে অগ্রনী ভূমিকা রাখলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জোবায়েদা খানম শিমুল সাহা, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত লক্ষ্মীপুরে গ্রামীন সড়কে ড্রামট্রাকে  মেম্বারের বালু ব্যবসা, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি মামলা দেয়ার হুমকি রায়পুরে কিশোরী অপহরণ মামলায় দীপেন ও জহির গ্রেপ্তার  লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ, নির্গত দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ লক্ষ্মীপুরে শিক্ষক- শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ
জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর আজ ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর আজ ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

ভিবি নিউজ ডেস্কঃ

আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রক্তস্নাত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। পূর্ণতা পায় বাঙালির বিজয়।

মহান এই নেতার প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতাসংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পায়। বিশ্বজুড়ে জাতি পরিচিতি পায় বীর বাঙালি হিসেবে। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদাররা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমণ্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তাঁকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করা হয়। বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে কাটানোর পর লন্ডন-দিল্লি হয়ে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় পৌঁছেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। এরপর প্রতিবছর কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি নানা আয়োজনে পালন করে আসছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বঙ্গবন্ধু হানাদারমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন বিজয়ের মালা পরে। সেদিন বিমানবন্দর থেকে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত রাস্তা ছিল লোকে লোকারণ্য। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের গণহত্যার সংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো মানুষের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষণা দেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও আমি বাঙালি জাতির এই ভালোবাসার ঋণ শোধ করে যাব।’ কথা রেখেছেন জাতির পিতা। হিংস্র পাকিস্তানি হানাদাররা যাঁর গায়ে আঁচড় দেওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি, স্বাধীন দেশে বাঙালি নামের এক শ্রেণির কুলাঙ্গার-বিশ্বাসঘাতকের হাতে তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বঙ্গবন্ধু তাঁর কথা রেখেছেন।


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com