ভিবি নিউজ ডেস্কঃ
এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার লিমিটেড ও চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। এখানে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলির ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ১৭ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সংঘর্ষের একপর্যায়ে গুলি চালায় পুলিশ। এতে ছয়জন নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে ২৫ জন। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতর আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম জানান, বেতন-ভাতা নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের বিরোধ চলছিল। সকালে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। পুলিশ তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। শ্রমিকদের হামলায় পুলিশের চার সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে চারজন নিহত হয়। তারা হলেন- চুয়াডাঙ্গার রনি, কিশোরগঞ্জের মো. রাহাদ, নরসিংদীর শুভ ও বাঁশখালীর মাহমুদ রেজা।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সওগাত ফেরদৌস বলেন, ‘আহত অবস্থায় অনেককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে চারজন মারা গেছেন।’ তিনি জানান, নিহত চারজন হলেন আহমেদ রেজা (১৮), রনি (২২), শুভ (২৪) ও মো. রাহাত (২২)। আহত ব্যক্তিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাবিবুল্লাহ (১৯) নামের একজন মারা যান। বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিউর রহমান মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফয়সাল করিম জানান, আহতদের হাসপাতালে আনার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রায়হান, বাড়ি নোয়াখালী।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) হুমায়ূন কবির বিক্ষোভের ঘটনায় শ্রমিকদের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৬ সালের এপ্রিলে একই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়।