ভিবি নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজলভ্য খাদ্য তালিকায় আলুর স্থান ছিল শীর্ষ সারিতে। ভাতের পরিবর্তে আলু খাওয়ারও সেস্নাগান দেয়া হতো একসময়। সেই আলুর দামেই যেন আগুন লাগার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই আলুর দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে গতকাল আগের দিনের তুলনায় ১০ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে আলুর এই দাম ঠেকেছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকায়।
টানা কয়েকদিনে দাম বাড়ার পর পাইকারিতে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছিল ৪৪ থেকে ৪৭ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম নিয়ন্ত্রণে তদারকি করতে হবে স্থানীয়ভাবে হিমাগারগুলোতে। এর ভেতরেই প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে দাম উঠেছে ৬০ টাকায়। আর সেই সঙ্গে দাম বেড়ে যাওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের।
পেঁয়াজ ও চালের দাম বাড়ার কারসাজি চলে বছরে কয়েকবার। কিন্তু এবার দাম বেড়ে যাওয়ার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলো নিত্যপণ্য আলু। রাজধানীর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়। যদিও দুদিন ধরে দাম স্থিতিশীল বলছেন পাইকাররা। ব্যবসায়ীরা জানান, করোনায় ত্রাণ বিতরণ ও বন্যার কারণে অন্যান্য সবজির উৎপাদন কমে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে আলুর ওপর। তবে বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য হিমাগারগুলোতে মনিটরিংয়ের দাবি জানান তারা।
খুচরা বাজারে কেজিতে আলুর দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়, সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৬০ টাকা। এতে নিত্য কেনাকাটায় হিসেব মেলাতে পারছেন না ভোক্তারা। উল্লেখ্য, বছরে ৭০ থেকে ৭৫ লাখ মেট্রিকটন আলুর চাহিদা থাকলেও গত বছর উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ৯ লাখ মেট্রিকটন।