বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে হিন্দুদের বাড়ীঘরে হামলা লুঠপাট ও অগ্নি সংযোগ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিন্দু ছাত্রদের বহিস্কারের প্রতিবাদে ৬ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১০.৩০ টায় ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব সহ সারা দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচীর পালন করে।
হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডঃ দ্বীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বরিষ্ট সহ সভাপতি প্রদীপ পাল, মহাসচিব অ্যাডঃ গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, যুগ্ম মহাসচিব সুজন দে, অ্যাডঃ লাকি বাছার সাংগঠণিক সম্পাদক অ্যাডঃ সুজয় ভট্টাচার্য, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ প্রতীভা বাকচী, প্রকাশনা সাগরিকা মন্ডল, যুব বিষয়ক সম্পাদক কিশোর বর্মন, ঢাকা জেলার সভাপতি অ্যাডঃ উজ্জ্বল মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক গোপাল পাল, হিন্দু মহিলা মহাজোটের সহ সভাপতি কাকলী নাগ, সাধারণ সম্পাদক মুক্তা বিশ্বাস,
হিন্দু স্বেচ্ছাসেবক মহাজোটের সভাপতি সঞ্জয় শীল, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঘোষ, সাংগঠণিক সম্পাদক তুলন পাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিন এর সভাপতি ডি.কে সমির, নির্বাহী সভাপতি অখিল বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঘোষ, সাংগঠণিক সম্পাদক নিপুন পাল,
ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি প্রবীর হালদার ,সঞ্জয় চক্রবর্তী,হিন্দু যুব মহাজোটের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রদীপ শঙ্কর, গৌতম সরকার অপু, প্রশান্ত হালদার, ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সাজেন কৃষ্ণ বল, সিনিয়র সহ সভাপতি বাবুল কর্মকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘটক, সহ প্রচার সম্পাদক সুমন কুমার রায়, কল্যাণ মন্ডল প্রমূখ।
বক্তাগণ বলেন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গারা বাজার এলাকার জনৈক ফ্রান্স প্রবাসীর ফেসবুক আইডিতে ফ্রান্স প্রেসিডেন্টের কার্যক্রমকে প্রশংসা করে লেখা একটি পোষ্টকে ইসলাম ও নবীর অপমান প্রচার করে গত ৩১/১০/২০২০ ইং তারিখ বিকাল ৩ টায় শত শত সন্ত্রাসী ইউপি চেয়ারম্যান বনজ কুমার শিব ও শিক্ষক শঙ্কর দেবনাথের বাড়ী সহ ৭টি বাড়ী ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ, মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর ও ব্যাপক লুঠপাঠ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
হিন্দু মহাজোটের একটি টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ভিকটিমদের কাছ থেকে বর্ণনা শুনে ঘটনার ভয়াবহতায় বাকরুদ্ধ ও হতভম্ব হয়ে পড়েন। ঘটনার সময় ভয়ে মহিলারা হাতের শাঁখা খুলে সিন্দুর মুছে অন্যত্র আশ্রয় নেয়। শিশুরা আতঙ্কে বমি করতে শুরু করে। সন্ত্রাসীরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে মহিলাদের শ্লীলতাহানী করে। স্বর্ণালঙ্কার সহ বহু মূল্যবান জিনিস লুটে নেয় । ক্ষয় ক্ষতির পরিমান প্রায় ৩ কোটি টাকা। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করে উল্টো ভিকটিমদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে জেল হাজতে প্রেরন করে বলে ভুক্তভোগীরা আমাদের এপ্রতিবেদক কে জানান।