কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে ডোপ টেস্ট করা হবে- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার
সরকারি চাকরিতে নিয়োগ ও কলেজ-বিশ্বদ্যিালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রত্যেকের ডোপ টেস্ট করার ব্যবস্থা করবে সরকার। এ বিষয়ে পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গতকাল বুধবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মোজাম্মেল বলেন, যত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ হবে, সেটা বিসিএস হোক আর যাই হোক, প্রত্যেকের ডোপ টেস্ট করা হবে। যারা কলেজ বিশ্বদ্যিালয়ের ভর্তির ক্ষেত্রেও ডোপ টেস্ট চালু করা হবে। যারা চাকরিতে আছেন তাদেরও বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেলে ডোপ টেস্ট করা হবে। এ কার্যক্রম ব্যাপক হারে প্রয়োগ হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এটা করা হবে যাতে প্রত্যেকের মধ্যে সেলফ কন্ট্রোল তৈরি হয়। এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, চাকরিতে যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে কেবল তাদের ডোপ টেস্ট হবে। গড় হারে করা হবে না, সবার তো গড় হারে করা সম্ভব না।

এদিকে, মাদকমুক্ত এলাকা ঘোষণা করার জন্য দুটি জেলায় পাইলট প্রকল্প চালু করা হবে বলেও তিনি জানান। জেলা দুটি হলো : বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও দিনাজপুর। এর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি জেলা দুটিকে মাদকমুক্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। মোজাম্মেল হক বলেন, দেশকে মাদকমুক্ত করার জন্য তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাদক সেবী, মাদক বিক্রেতা এবং তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদের চিহ্নিত করে দমন করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। আমাদের এখানে রোহিঙ্গারা আছে। আমরাও ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রিফিউজি ছিলাম। রিফিউজিরা কখনো স্থায়ী নাগরিকত্ব পায় না।

রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তাদের কিছু নেয়া হয়েছে। কঙ্বাজারে যারা আছেন এখানে মাঝে মধ্যে ক্রাইমের কথা শোনা যায়। এখানে যাতে কোনো ধরনের ক্রাইম না হয় সে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ক্রাইম দমন করার জন্য আগামী মে মাসের মধ্যে অত্যাধুনিক যে সব ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্রাইম দমন করা হয় সে ব্যবস্থা চালু করা হবে। ক্রাইম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *