সংবাদ শিরোনামঃ
জনগনের সুস্বাস্থ্যের জন্য চাই নিরাপদ খাদ্য রায়পুরে  সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে লুটপাট ও মাছ ঘাট দখলের অভিযোগ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজার ইউনিয়ন বিএনপির মাধ্যমে পানিবন্ধীদের ত্রান বিতরন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীদের নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন “ লক্ষ্মীপুরে কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে শিক্ষক- কর্মচারীদের বিক্ষোভ বাংলাদেশের মুমূর্ষু শিশু শুভমকে নতুন জীবন দিয়েছেন ভারতের ডাঃ সঞ্জীব দেববর্মণ কোটা আন্দোলনে মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরে সরকারি ঔষধ ফার্মেসিতে! এযেন সর্ষের মধ্যে “ভুত “ লক্ষ্মীপুরে কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অবশেষে লক্ষ্মীপুরে বাল্য বিবাহ রোধে অগ্রনী ভূমিকা রাখলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জোবায়েদা খানম শিমুল সাহা, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত লক্ষ্মীপুরে গ্রামীন সড়কে ড্রামট্রাকে  মেম্বারের বালু ব্যবসা, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি মামলা দেয়ার হুমকি রায়পুরে কিশোরী অপহরণ মামলায় দীপেন ও জহির গ্রেপ্তার  লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ, নির্গত দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ লক্ষ্মীপুরে শিক্ষক- শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ
ই-পাসপোর্ট পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা সার্ভারে ত্রুটি, জনবল সংকট ও সক্ষমতার থেকে বেশি আবেদন

ই-পাসপোর্ট পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা সার্ভারে ত্রুটি, জনবল সংকট ও সক্ষমতার থেকে বেশি আবেদন

ভি বি রায় চৌধুরী – ই-পাসপোর্ট পেতে গ্রাহককে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। নতুন পাসপোর্ট পেতে ফরম পূরণ করার পর আবেদন জমা দিতেই তিন থেকে চার মাস সময় লাগছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাপ্রার্থীরা। বিশেষ করে ভিসার মেয়াদ শেষের দিকে হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে যেসব প্রবাসীর পাসপোর্ট প্রয়োজন তারা ভোগান্তিতে পড়ছেন বেশি। এ ছাড়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে চাওয়া রোগী এবং শিক্ষার্থীরাও সময়মতো পাসপোর্ট পাচ্ছেন না। আর দালালদের দৌরাত্ম্য তো আছেই। পাসপোর্ট পেতে বিলম্বের কারণ হিসেবে জনবল সংকট ও সক্ষমতার থেকে বেশি আবেদন পড়ার কথা বলছেন পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। সম্প্রতি পাসপোর্ট অধিদফতরের সার্ভারেও ত্রুটি দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, সার্ভার ডাউন থাকায় সঠিক সময়ে সেবা মিলছে না।
ডিআইপি সূত্র জানায়, চলতি মাসের ১ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৩টি ই-পাসপোর্ট ও এক লাখ ৪১ হাজার ৮৮৯টি এমআর পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে। মাসে অন্তত ৫ লাখ পাসপোর্ট মানুষের হাতে তুলে দেয়ার লক্ষ্যে ডিআইপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবা ও সুরক্ষা বিভাগে ৯০০ জনবল চেয়ে আবেদন করেছে। এই জনবল নিয়োগ হলে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলবে বলে মনে করছেন ডিআইপির শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ ছাড়া জন্ম নিবন্ধন সনদের সার্ভারের সঙ্গে দীর্ঘদিন পাসপোর্ট অফিসের সার্ভার সংযোগ না থাকায় বন্ধ রয়েছে জন্ম নিবন্ধনধারীদের পাসপোর্ট প্রদান। গ্রহণ করা হচ্ছে না জন্ম নিবন্ধনধারীদের পাসপোর্টের আবেদন। ১৮ বছর বয়সের নিচে শিশু ও কিশোরদের জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণের সুযোগ নেই। এ বয়সীদের আবেদন করতে হয় জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে। সার্ভার সমস্যার দ্রুত সমাধান চেয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর আগারগাঁওয়ে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের (ডিআইপি) মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালকের কাছে চিঠি দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ডিআইপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী বলেন, সার্ভার সমস্যার সমাধান হয়নি। নির্দেশ দিয়েছি সার্ভার সংযোগের দরকার নেই। পূর্বের মতো কম্পিউটারে জন্ম নিবন্ধন সনদ পরীক্ষা করে পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করা হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নবায়নের (রিনিউ) জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন সৌদি আরব প্রবাসী মো. ফজলে বারী। এদিকে নভেম্বর মাসেই তার ভিসার মেয়াদ শেষ হবে। এই সময়ের মধ্যে তাকে পাসপোর্ট নবায়ন করে ফিরে যেতে হবে সৌদি আরব। কিন্তু অনলাইনে ফরম পূরণ করার পর আবেদন জমাদানের জন্য ১১ নভেম্বর তারিখ পেয়েছেন। ফলে এক প্রকার দিশাহারা তিনি। এর মধ্যে তিনি পাসপোর্ট পাবেন কীভাবে আর সৌদি ফিরে যাবেন কবে তা নিয়ে আছেন শঙ্কায়। রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সামনে সেবাগ্রহীতাদের এমন দুর্ভোগের চিত্র এখন নিয়মিত। সাধারণ ই-পাসপোর্ট নতুন বা নবায়ন যেটিই করা হোক সময় লাগার কথা ২১ দিন। কিন্তু কারো কারো সেটি লেগে যাচ্ছে তিন থেকে চার মাস। এই দীর্ঘসূত্রতা মূলত শুরু হয়েছে করোনার কারণে। দালালের দৌরাত্ম্যও বেড়েছে। বিশেষ করে যাদের জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট দরকার, তারা রয়েছেন চরম ভোগান্তি আর অনিশ্চয়তায়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী বলেন, এই সমস্যাটা আমাদের আগে ছিল না। করোনাপরবর্তী সময়ে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের যে লোকবল রয়েছে, তাতে একদিনে সর্বোচ্চ ৯০০ আবেদন গ্রহণ করতে পারি। কিন্তু করোনায় বন্ধ থাকার কারণে খুলে দেয়ার পর ই-পাসপোর্টে হাজার হাজার আবেদন পড়ছে। আমাদের সক্ষমতার অতিরিক্ত আবেদন পড়ায় ২১ দিনের পাসপোর্ট ডেলিভারি দিতে সময় লেগে যাচ্ছে দুই থেকে তিনগুণ। যার কারণে ফরম পূরণ করার পরও আবেদন জমা দেয়ার তারিখ পেতেও দেরি হচ্ছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, মূলত জনবল সংকটের কারণে সেবাগ্রহীতাদের পাসপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। আমরা স্বল্প জনবল দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনবল না বাড়ালে এই সংকটের সমাধান হবে না। প্রাথমিকভাবে জরুরি ভিত্তিতে আগারগাঁওয়ে চার কর্মকর্তা ও ২৫ কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হলে ওই অফিসের চলমান সমস্যা অনেকটা দূর হবে।


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com