মিজানুর শামীম: লক্ষ্মীপুরের দালাল বাজারস্হ অতি শীঘ্রই উদ্বোধনের অপেক্ষায় আলিফ মীম হাসপাতালের শেয়ারহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ মে শনিবার দুপুরে হাসপাতালের
রিসিভসান রুমে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা বিএমএ, স্বাচিপের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. জাকির হোসেন বলেন, আমি এই হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আমির হোসেনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই যে উনি অত্র এলাকায় এরকম একটি হাসপাতাল তৈরি করেছেন। আশাকরি আলিফ মীম হাসপাতাল এলাকার রোগীদের সু-চিকিৎসা দিতে হবে। আমি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে চিকিৎসা বিজ্ঞান পেশায়জড়িত আছি। আমার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি কাজে লাগাতে চায় তাহলে যে কোনো সময় যে কোনো প্রয়োজনে তাঁরা আমার সহযোগিতা পাবেন বলে আমি কথা দিলাম।
হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব আমির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলোয়াত করেন হাফেজ রাসেল। সভাপতির বক্তব্যে হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আমির হোসেন বলেন, প্রিয় শেয়ার হোল্ডারবৃন্দ ও উপস্থিত সকল ভাই-বোন আপনাদের সহযোগিতা এবং দোয়া নিয়ে হাটি হাটি পায়ে আমরা অত্র এলাকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যে হাসপাতালটি আগামী ২৯ জুলাই চালু করতে যাচ্ছি। আমাদের এ হাসপাতালে সকল ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি আমরা সংগ্রহ করেছি। এতে করে রোগীদের উন্নত সেবা দেয়া সম্ভব হবে। আমি মনে করি আলিফ মীম হাসপাতালের আজকের এ অগ্রগতির সকল অবদান এই হাসপাতালে সম্মানিত শেয়ার হোল্ডারদের। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আগামী ২৯ জুলাই হাসপাতালটি উদ্বোধনের দিন সকলের উপস্থিতি কামনা করি।
আলিফ মীম হাসপাতালের পরিচালক মরহুম আবুল খায়েরের ভাতিজা মো. আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন হাসপাতালটির পরিচালক ও রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলম মাস্টার, দালাল বাজার বনিক সমিতির সহসভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক বাহার পাটোয়ারী, হাসপাতালটির পরিচালক সহিদ উদ্দিন মাস্টার, লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের আইনজীবী রিয়াজ হোসেন, হাসপাতালটির পরিচালক মো: আবুল বাসার, হাসপাতালটির পরিচালক ও কেরোয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলম, হাসপাতালটির পরিচালক নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. সেলিম। হাসপাতালটি সহকর িকিস মো. রুল আমিন জিয়া
এ মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, সদর উপজেলার দালাল বাজার, চররুহিতা, উত্তর ও দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী রায়পুর উপজেলার সোনাপুর, চরমোহনা ও বামনী ইউনিয়নের প্রায় তিন লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার সহযোগিতার লক্ষ্য নিয়ে সম্ভাব্য পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট এই আলিফ-মীম হাসপাতালটি চালু করার জন্য শেষ পর্যায়ে আছে। আশাকরা হয় অতি শীঘ্রই চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল ধরনের উন্নত মানের অত্যাধনিক মেশিনপত্র ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা এ হাসপাতালটি চালু করে অত্র এলাকার রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হবে। এতে করে এখানে চিকিৎসা নিতে আসা আশেপাশের এলাকার রোগীদের দুর দুরান্তে নোয়াখালী বা ঢাকা যেতে হবে না।