ঢাকাSunday , 18 May 2025

দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং ” সর্বোচ্চ কঠোরতা জরুরি

admin
May 18, 2025 4:51 am । ৮৪ জন
Link Copied!

“দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং ”
সর্বোচ্চ কঠোরতা জরুরি

ভিবি নিউজ ডেস্ক – কিশোর গ্যাং এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। বর্তমানে এই গ্যাং শহর থেকে গ্রাম, পাড়া-মহল্লায়, অলিগলিতে গড়ে উঠছে। বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা। যে সময় পরিবার ও সমাজের নিবিড় যত্নে কিশোরদের বেড়ে ওঠার কথা, সে সময় পারিবারিক শিক্ষা ও সামাজিক অনুশাসনকে অবজ্ঞা করে কিশোররা যুক্ত হচ্ছে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। এখন ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, মাদক কারবার, জমি দখলে সহায়তা এবং যৌন হয়রানির মতো ভয়ংকর সব অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে তারা। দেশে বর্তমানে দুইশ’র বেশি কিশোর গ্যাং রয়েছে। যাতে পাঁচ হাজারেরও বেশি সদস্য। নামে ‘কিশোর গ্যাং’ হলেও এসব অপরাধী চক্রের বেশিরভাগ সদস্যের গড় বয়স ১৮ বছরের বেশি। অবশ্য এসব গ্রুপে ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীরাও রয়েছে। এসব কিশোর গ্যাংয়ের প্রত্যেক সদস্যের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য। দলের বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান এবং স্কুল বা কলেজপড়ুয়া। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের এবং লেখাপড়া না জানা কিশোর-তরুণও রয়েছে এসব দলে। পুলিশ বলছে, ‘কিশোর গ্যাং’ নাম দিয়ে অনেক অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে। ‘কিশোর গ্যাং’ বললে গ্রেফতারের পর আদালতেও এসব অপরাধী চক্রের সদস্যরা ‘কিশোর’ হিসেবে পরিচয় পায়।

তখন তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায় না। কিছুদিন আগে কিশোর গ্যাং একটি দুর্ধর্ষ অমানবিক ঘটনা দেখিয়েছে আমাদের। গত বুধবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একই পরিবারের সাতজনকে কুপিয়ে জখম করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা লক্ষ্য করে আসছি, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ঘটছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পুলিশের মনোবল ভেঙে যাওয়ায় তাদের অধিকাংশই দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছিলেন না। পুলিশের হৃত মনোবল ফিরে আসতে শুরু করলেও রাজধানী সহ দেশের জেলা, উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো সম্ভব হচ্ছে না।বিভিন্ন জেলায় থাকা পুলিশ কেম্প গুলো সরিয়ে নেয়ায় আইনশৃঙ্খলা আরো অবনতি হয়েছে,যেমন লক্ষ্মীপুর জেলার উপশহর দালাল বাজার পুলিশ কেম্প। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে অপরাধীরা তাদের অপরাধকর্ম চালিয়েছিল নির্বিঘ্নে, তাদের সেই চরিত্র পালটায়নি। অপরাধী, বিশেষত কিশোর গ্যাংগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা না করলে তাদের দমানো যাবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তাই উচিত হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সব এলাকার দুর্বৃত্ত ও অপরাধীদের কঠোরহস্তে দমন করার নির্দেশ প্রদান করা। একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ, নিরাপদ দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। অপরাধ দমনে বিলম্ব ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। তার আগেই রাজধানীকে অপরাধমুক্ত করতে হবে। তারপর সারা দেশ ব্যাপি এই অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। অপরাধী, বিশেষত কিশোর অপরাধীরা বেপরোয়াপনার সীমা অতিক্রম করেছে।