পোস্ট অফিস পরিদর্শক আব্দুর রহমানের দুর্নীতির ফিরিস্তি ১ উন্মোচন
স্টাফ রিপোর্টার-
পোস্ট অফিসের এক পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি আর নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর তদন্ত প্রতিবেদনেও এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের আদেশ জারি হলেও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্টেও এসব প্রকাশিত হলেও শেষ পর্যন্ত রেহাই পেয়ে যাচ্ছেন কীভাবে? তাই এলাকায় অনেকের মন্তব্য, ‘এরপরও এটি দেখার যেন কেউ নেই।’
নোয়াখালী ও লক্ষীপুর এর পোস্ট অফিসের এ পরিদর্শকের নাম আব্দুর রহমান। চাকরির বেশির ভাগ সময় এই অঞ্চলে কর্মরত রয়েছেন। জানা যায়, তিনি বিভিন্ন মেয়াদে ১৭-১৮ বছর যাবৎ একই জায়গায় পোস্ট অফিস পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। মাঝে মধ্যে এই অঞ্চল থেকে বদলী হলেও বিভিন্ন কৌশলে পূনরায় আবার এই জায়গায় চলে আসেন। এই কর্মস্থলে আসার বা থাকার কারন কি? তা কেউ জানে না। বিগত ৬- ৭ বছর এখানে একনাগাড়ে কর্তব্য পালন করে আসছেন। ৪ মাস পূর্বে বদলির আদেশ হলেও তার বিভিন্ন কৌশলের এই আদেশ স্থগিত করেন ডিপার্টমেন্ট। একই স্থানে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে গরীব অসহায় মানুষের টাকা।
এমন অভিযোগ প্রায় সময় পাওয়া যায়। এর মধ্যে মকবুল চৌধুরীর হাট কবিরহাট উপজেলার বাসিন্দা ইব্রাহিম খলিল একজন। বাংলাদেশ ডাকঘর বিভাগের মহাপরিচালক বরাবরে একটি দরখাস্ত করেন তিনি।
ইব্রাহীম খলিল ওই দরখাস্তে উল্লেখ করেন যে, এই আব্দুর রহমান পোস্ট মাস্টার পদে পুনরায় বহাল করবেন ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে। তবে তার কথামত ৪০ হাজার টাকা দেন এবং বাকি ১০ হাজার টাকা চাকরি হলে দিবেন বলে সম্মত হন। বিগত ২০২৩ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারি তারিখে নতুন ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করেন এবং ইব্রাহিম খলিল পরীক্ষা দেন কিন্তু এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে আরেক জনের চাকুরী হয় কিন্তু ইব্রাহিম খলিলের চাকুরি হয়নি। তখন ৪০ হাজার টাকা ফিরত চাইলেও এখন পর্যন্ত টাকাটা দেয়নি। এরজন্য ইব্রাহিম খলিল ডাকবিভাগের মহাপরিচালক বরাবরে এই অভিযোগ করেন এবং এর অনুলিপি চট্টগ্রামের পোস্ট মাস্টার জেনারেল, দুদকের হেডঅফিস সহ নোয়াখালীর ডিপিএমজি, দুদক অফিস,জেলা প্রশাসক ও নোয়াখালী প্রেসক্লাব বরাবরে ডাকযোগে প্রেরণ করেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন প্রতিউত্তর কারোর কাছ থেকে পাওয়া যায় নি।
পোস্ট অফিসের বিভিন্ন কর্মচারীরা প্রশ্ন তুলেছেন কিসের ভিত্তিতে আবদুর রহমানকে একই জায়গায় নিয়োগ দিয়ে রাখছেন, কেনইবা তাকে একই জায়গায় বছরের পর বছর রেখেছেন, কার স্বার্থ হাসিল করার জন্য উনাকে রেখেছেন এতো সব অভিযোগ উঠার পরেও। তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপও নিচ্ছে না, তার কারনও কারো জানা নেই।
অনেকে সন্দেহ করতেছেন এই দূর্নীতিবাজের ঘুষ থেকে প্রাপ্ত অর্থের ভাগকি উনারাও পায়, তা না হলে কেন আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে কোন প্রকার পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। ভুক্তভোগী সহ মানুষের এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কে দিবে ?
(চলবে)






