দুর্নীতিবাজ আব্দুর রহমান
ঠেলার নাম বাবাজি
ভিবি নিউজ ডেস্ক : নোয়াখালী ও লক্ষীপুর পোস্ট অফিস পরিদর্শক আব্দুর রহমান দীর্ঘদিন পর বদলী হলেন। তার বদলির খবর পেয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে নোয়াখালী ও লক্ষীপুর পোস্ট অফিস সাব-পোস্ট অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা এবং ঝাড়ুদার, পিয়ন থেকে সকলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। পোস্ট অফিসের সকল গ্রাহক এবং সর্বস্হরের জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আমাদের প্রতিনিধি কে জানায় আব্দুর রহমান ছিলেন একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ। তার দুর্নীতির কারনে সকলে অতিষ্ট। কিন্তু সে এতই ক্ষমতাধর লোক ছিলো যে, তাদের কারনে সবসময়ই দুর্নীতি করে পার পেয়ে যেত। তার সাথে ডাক বিভাগের ডিজি মহোদয় পিএমজি মহোদয় সহ উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় কেউ তার টিকিটিও ছিঁড়তে পারেনি। ক্ষমতার চেয়ারে বসে তিনি তার অধস্থন কর্মচারীদের উপর প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ উপায়ে অর্থ সহ হয়রানি করে যাচ্ছিলেন।কেউ কেউ বলেন তার দুর্নীতি থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটা অংশ পেতো ডাক বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তা, স্হানীয় প্রশাসন। তার বদলির খবরে অনেকে আনন্দিত আবার অনেকে বলেছেন আব্দুর রহমানের অপকর্মের ফল হিসেবে তাকে বদলি করে ডাক বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা তাকে জনগণের রোষানল থেকে রক্ষা করে নিরাপদ যায়গায় নিয়েগেছেন। ডাক বিভাগের উচিত ছিল তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করার আগ পর্যন্ত তাকে বরখাস্ত করা এবং তাকে নিরপেক্ষ তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
গত ২৯ শে এপ্রিল এবং ১৩ ই মে দুর্নীতিবাজ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে জাতীয় দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পত্রিকা। সংবাদ প্রকাশের পর পর ই নেড়ে চড়ে বসে ডাক বিভাগ এবং ২০ শে মে স্ট্যান্ড রিলিজ করে।
বদলী নিশ্চিত করেন নোয়াখালী ডিপিএমজি শংকর কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন ২০ শে মে আমি আব্দুর রহমানের স্ট্যান্ড রিলিজের কাগজ হাতে পাই এবং আজ ২১ শে মে তাকে কর্মস্হলে যোগদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করি। আজ চট্টগ্রামে যোগদান করেন বলে আমার কাছে খবর এসেছে।
আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা অর্থ আত্মসাৎ, রড চুরির, টাকার বিনিময়ে চাকুরী প্রদান, টাকার বিনিময়ে বদলী বানিজ্য, দুদুকের অভিযোগ সহ বিভাগীয় বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালে একটি অভিযোগে তার ইনক্রিমেন্ট তিন মাস স্থগিত করা হয়। ২৬ শে ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সালে দুদকের অভিযোগ টি এখনো কোন সুরাহা হয় নি।অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন কেন আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে কোন শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে না ডাক বিভাগ। তাহলে কি আব্দুর রহমান সবাই কে টাকা দিয়ে মেনেজ করে। এতসব অপরাধের পর ও আব্দুর রহমান কে বরখাস্ত না করে পিএমজি মহোদয় উনার কাছে নিয়েগেছেন ?