জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পাশকরা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আজাদ জীবন যুদ্ধে পরাজিত ?
লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরী – আজাদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজার এন কে উচ্চ বিদ্যালের সাবেক মেধাবি ছাএ ছিলেন এবং জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্র তিনি অন্ধত্বকে জয় করে ভার্সিটি পর্যন্ত এসেছেন যেখানে চক্ষু থেকেও পারা যায় না অথচ তিনি দেখিয়েছেন ইচ্ছাশক্তি থাকলে সব করাই সম্ভব ।পাশ করার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন ভাগ্য বলে একটা কথা আছে, উনার ভাগ্য এতটাই খারাপ উনি তো অন্ধ তার মধ্যে উনার মা ক্যান্সারে মারা গেলো, উনার বাবাও এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত এখন উনি পুরোপুরি অসহায়, অন্ধ বলে তিনি কোন চাকরি পাচ্ছেন না।
আমাদের এপ্রতিবেদক জানান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল মসজিদে জুম্মার নামাজের পর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আজাদ কে দেখে স্তম্ভিত আমি। এভাবে তাঁকে দেখবো ভাবিনি।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ‘আজাদ হোসেন’ জাবিয়ান, আই আর ৪২ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। মসজিদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলছেন,
“স্যার আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, আমার বাবা ক্যান্সার আক্রান্ত আমাকে সাহায্য করুন।”
কেন জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির একজন মেধাবী ছাত্র হয়ে আজ আপনি এভাবে হাত পাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন , বেশকিছু চাকরির ইন্টারভিউতে টিকেও দৃষ্টিহীন বলে চাকরি হচ্ছেনা।
২০১৯ সালে আমার মা ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এখন বাবা ক্যান্সার আক্রান্ত, পিজি হসপিটালে চিকিৎসাধীন। বাবার চিকিৎসার জন্য সকল সম্পদ শেষ হয়েছে। আমি এবং আমার ছোটবোন বাবার সাথে ঢাকায় আছি।
তিনি আরো বলেন আমার স্ত্রী এবং তিনমাসের সন্তান আছে। তাদের দেখভাল করার মতো কেউ নেই, দৃষ্টিহীনতাকে জয় করে এতদূর এসেছেন, মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন, আজ দৃষ্টিহীনতার কারনে জীবনযুদ্ধে হেরে যাবেন ?
দেশের সরকার প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস মহোদয় যদি তাঁর জন্য একটা চাকরির ব্যাবস্থা করতেন তাহলে বাংলাদেশের সেরা বিদ্যাপীঠ থেকে পাশ করা মোহাম্মদ আজাদ হোসেন বিভিন্ন জনের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করে বাবার জন্য চিকিৎসার টাকা যোগাড় করতে হতো না। চাকরি না থাকাতে স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদের চাপ আছে শশুরপক্ষ থেকে।
স জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পাশকরা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আজাদ জীবন যুদ্ধে পরাজিত ?






