বহু দুঃখ নিয়ে চলে গেলেন পলাশ একাকী হয়ে গেলেন তার স্ত্রী
ভিবি নিউজ ডেস্ক – এএসপি পলাশ সাহার মৃত্যুর পর পুরো ঘটনা এনালাইসিস করে যা বোঝা যায়, পলাশ সাহা বিয়ে করার সময় এই মেয়েকে দেখেই তার পছন্দ হয়েছিল এবং সে এই মেয়েকেই বিয়ে করবে, কিন্তু পলাশ এর মা তা মেনে নিচ্ছিলো না কারণ মেয়েরা গরীব, ছেলেটা মাকে অনেক বুঝিয়ে এই মেয়েকে বিয়ে করে, কিন্তু পলাশের মা কোনোভাবেই মানতে পারতেছে না একটা গরিব ঘরের মেয়ে তাদের ঘরে এসে খাট পালংয়ে থাকতেছে, তার ছেলে একজন এএসপি, এই মেয়ে তো তাদের বাসার কাজের মেয়ে হওয়ার যোগ্যতাও নাই, হয়তো অন্য জায়গায় বিয়ে করাইলে আরো ভালো কিছু পেতো,কোটি কোটি টাকা শত ভরি স্বর্ণ, মা তার ছেলেকে বলেছে এই মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে দাও আরো ভালো জায়গায় তোমাকে বিয়ে করাবো, কিন্তু পলাশ তা করে নাই কেনই বা করবে যদি বউয়ের কোন সমস্যাই না থাকে, তাহলে তাকে ডিভোর্স কেন দিবে, আর মাকেও কিছু বলতে পারতেছে না কারণ ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছে, কিছু বলতে গেলেই ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে, স্ত্রী কেও কিছু বলতে পারেনা কারণ স্ত্রীর তো দোষ নেই দোষ থাকলে ডিভোর্স দিয়ে দিতো, প্রতিদিন ডিউটি শেষ করে বাসায় ফিরলে সেম কাহিনী, দুদিকের নালিশ শুনতে শুনতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল পলাশ, শেষমেষ বিদায়, আর কোন জ্বালা নেই, আর কোন নালিশ নেই , পরিবারের লোকেরা এটা কখনোই চিন্তা করে না বাইরে কত কষ্ট করে কত ঝামেলা মাথার উপর দিয়ে যায়, ঝামেলাগুলো শেষ করে বাসায় ফিরে একটু মানসিক শান্তির জন্য, সেটাও হয়ে উঠে না
এখন অনেকে বলবেন আমি পলাশের বউয়ের পক্ষ নিচ্ছি, আমার কথা হচ্ছে পলাশ যদি বউয়ের দোষ দেখতো তাহলে তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিতো,
উপরে যে কথাগুলো লিখেছি, তা দু পক্ষের কথা শুনে আমার ব্যক্তিগত মতামত নয়।