জেলাপ্রতিনিধি- লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজার ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের খিদিরপুর গ্রামের মাগন বেপারী বাড়ির মসজিদের পাশে জহিরের বাড়ির মোঃ রিপন ও মোসাম্মত রীনা বেগমের কন্যা আয়শা আক্তার রিপা(১৫) এর বাল্যবিবাহ ৭ অক্টোবর ২০২৪ ইং দুপুরে রোধ করলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার( এসিল্যান্ড) নির্বাহী কর্মকর্তা অভি দাস।
জানাযায় আয়শা আক্তার রিপা রাখালীয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ৮ ম: শ্রেণির শিক্ষার্থী, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার নির্বাহী মাজিস্ট্রেট অভি দাস ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্ত বিষয় ওয়াকিবহাল হয়ে বাল্যবিবাহ রোধক আইনে উভয় পক্ষের মুচলেকা নিয়ে বাল্য বিবাহ থেকে আয়শা আক্তার রিপা কে ফিরিয়ে আনলেন বলে এপ্রতিবেদক কে নির্বাহী মাজিস্ট্রেট অভি দাস জানান।
বাল্য বিবাহ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত৷ বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ একটি মারাত্মক সমস্যা৷ ইউনিসেফের শিশু ও নারী বিষয়ক প্রতিবেদনে অনুসারে বাংলাদেশের ৬৪% নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছরের আগে৷ বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে ছেলেদের বিবাহের বয়স নুন্যতম একুশ এবং মেয়েদের বয়স আঠারো হওয়া বাধ্যতামূলক৷ অশিক্ষা, দারিদ্র, নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক নানা কুসংস্কারের কারনে এ আইনের তোয়াক্কা না করে বাল্য বিবাহ হয়ে আসছে৷ বাল্য বিবাহের প্রধান কুফলঃ নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া ছাড়াও বাল্য বিবাহের কারনে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ মা হতে গিয়ে প্রতি ২০ মিনিটে একজন মা মারা যাচ্ছেন৷ অন্যদিকে প্রতি ঘন্টায় মারা যাচ্ছে একজন নবজাতক৷ নবজাতক বেঁচে থাকলেও অনেক সময় তাকে নানা শারীরিক ও মানষিক জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়৷ অপ্রাপ্তবয়স্ক মা প্রতিবন্ধী শিশু জন্মদান করতে পারে৷ এছাড়া এতে গর্ভপাতের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়৷ বাল্য বিবাহের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের আশংকা তৈরী হওয়া ছাড়াও নানা পারিবারিক অশান্তি দেখা দেয়৷ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের উপায়ঃ বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনটি বাস্তবায়নে ব্যাপক প্রচার/প্রচারনা করা প্রয়োজন