লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরী – জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার বশিকপুর ইউনিয়ন এলাকায় পারিবারিক কলহের কারণে কামাল হোসেন (৩৫) নামে এক পাষন্ড বাবার দেয়া আগুনে পুড়ে মারা গেছে সাত বছর বয়সী আয়েশা আক্তার মুনতাহা ও তিন বছর বয়সী আব্দুর রহমান। স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার
মারাত্মক দগ্ধ হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় বার্ণ ইউনিট হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিন বছর বয়সী শিশু আব্দুর রহমান মারা যায় বলে ২৮ নভেম্বর সন্ধ্ায় চ্রঞ্জ তৌহিদুর রহমান জানান।
এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার বশিকপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো: মাহবুবুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়েছে। ঘাতক কামালকে মঙ্গলবার সকাল ন’টার দিকে বশিকপুর এলাকা থেকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে বিজ্ঞ আদালতের বিচারকের নিকট সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।
সুত্রে জানা গেছে, স্ত্রী সাথে পারিবারি কলহের কারণে কামাল হোসেন এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্হানীয়রা জানান। ঘাতক কামাল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোররাত তিনটার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পুরান চতইল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। কামাল হোসেন পুরান চতইল্লার বাড়ির আমিন উল্ল্যাহর ছেলে। পেশায় তিনি একজন অটোরিক্সা চালক। আহত কামালের স্ত্রী সুমাইয়ার স্বজনরা জানান, সুমাইয়া বশিকপুর ডিএসইউ কামিল মাদ্রাসার দপ্তরী পদে এ বছর চাকুরি পান।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহফুজ আলম, সিএনজি চালক মানিক হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, নানান বিষয় নিয়ে পারিবারিকভাবে স্ত্রীর সাথে বাকবিতন্ডা প্রায়ই চলতো। ঘটনার সময় তারা শোরচিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে আগুন নেভাতে আসেন। পরে তাদের কাছে কামাল দাবি করেন, পেট্রোল দিয়ে তিনি নিজেই আগুন দিয়েছেন। পুলিশ এসে মুনতাহার লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তৌহিদুর রহমান এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ঘাতক কামাল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তদ্ র পরব আনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।