ভিবি নিউজ-আজ জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। জোটের ও ভোটের রাজনীতিতে বরাবরই ফ্যাক্টর ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বিভিন্ন আমলে সরকার গঠনে তার প্রতিষ্ঠিত দলকে রাজনীতির বাজারে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন নিয়ামক হিসেবে। কিন্তু এরশাদের প্রয়াণে সেই জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক অঙ্গনে আজ অনেকটাই ‘প্রভাবহীন’।
জানা যায়, বিগত এক বছর জাপা চলেছে এরশাদের অনুপস্থিতিতে। তবে এরশাদ জীবিত থাকাবস্থায় জাপার শীর্ষ নেতৃত্বে যে অনৈক্য ছিল, মৃত্যুর এক বছরের মাথায়ও তা অটুট রয়েছে। তবে এরশাদের
প্রয়াণের পর দলটি কিছুটা ভাঙনের মুখেও পড়েছিল। সেই ভাঙন শেষ পর্যন্ত ঠেকানো গেলেও গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি জাতীয় পার্টি। বরং নানা সমীকরণে দলের হাইকমান্ড বা শীর্ষ নেতৃত্ব এখন অনেকটাই নিষ্ক্রিয়।
গত বছরের এই দিনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। করোনা বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনটি পালনে জাতীয় পার্টি, এরশাদ ট্রাস্ট ও ব্যক্তিগতভাবে বেগম রওশন এরশাদসহ দেশব্যাপী নানান কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। সকালে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে রংপুরে এরশাদের সমাধি জিয়ারত করে দুপুরে ফিরে কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল ও বনানীর পৃথক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন জিএম কাদের। সকাল ১১টায় গুলশানের বাসায় রওশন এরশাদ মিলাদ মাহফিল ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে এরশাদ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সকাল ১২টায় কাকরাইলে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এরশাদের প্রতীকী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিকেলে প্রেসিডেন্ট পার্কে স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ট্রাস্টের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরের মসজিদে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেতাকর্মীরা বলছেন, বর্তমানে দলের ৯০ শতাংশ নেতাকর্মীই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রভাব কেটে গেলেও তাদের অনেককেই আর দলের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে দেখা যাবে না। বড় একটি অংশ দলছুটও হতে পারেন। নেতৃত্বের সংকটকেই বড় অভাব হিসেবে ধরা দিচ্ছে তাদের কাছে। তারা মনে করছেন, বর্তমান নেতৃত্বের হাত ধরে এই দলের নিজস্ব শক্তিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়।
গত বছরের এই দিনে মারা যান জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার প্রয়াণের পর থেকেই দলের সাংগঠনিক ভঙ্গুর দশার চিত্র বেরিয়ে আসতে থাকে। এরশাদের ‘চলি্লশা’র আয়োজনের অব্যবস্থাপনা থেকে এর শুরু। কিছুদিন পরই দলের নেতৃত্ব নিয়ে শুরু হয় সংকট। এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ আর ছোট ভাই গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের মধ্যে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে দলের মধ্যে ভাঙন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত শেষ পর্যন্ত রওশন এরশাদ সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা আর জিএম কাদের পার্টির চেয়ারম্যান পদ মেনে নিতে সম্মত হলে ভাঙন ঠেকে। তবে সাংগঠনিকভাবে দলটি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
এরশাদের মৃত্যুর পর বেগম রওশন এরশাদ অনেকটাই নীরব হয়ে যান। পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলনে তিনি যেমন উপস্থিত ছিলেন না, তেমন দলের অন্যান্য কর্মসূচিতে খুব বেশি অংশ নেন না। তবে বার্ধক্যের কারণেই মূলত তিনি সভা-সমাবেশে খুব বেশি অংশ নেন না বলে তার একাধিক অনুসারী জানিয়েছেন। তবে নিয়মিতই তিনি পার্টির সব কর্মকা-ের খোঁজখবর রাখেন। যখন প্রয়োজন হয়, তখনই অনুসারীদের নিয়ে তিনি সরব হন। এরশাদের মৃত্যুর পরপরই জাপাশিবিরে নতুন করে আলোচনায় আসেন তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা। এরশাদের মৃত্যুর কয়েক মাস পর বিদিশা প্রেসিডেন্ট পার্কে অবস্থান নেন। তার ছেলে এরিককে সামনে রেখে এরশাদের গড়া ট্রাস্টকে কেন্দ্র করেই মূলত বিদিশার কর্মকা- আলোচনায় আসে। গত এক বছর এ নিয়ে গণমাধ্যমে বেশ লেখালেখি হয়েছে। বিদিশার আমন্ত্রণে এরিকের জন্মদিনে জাতীয় পার্টির কয়েকজন সিনিয়র নেতা, এরশাদের আরেক ছেলে সাদ এরশাদের উপস্থিতি বিদিশাকে সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে যায়। বর্তমানে এরশাদের গড়া ট্রাস্টের সব কর্মকা- বিদিশার পরামর্শে হচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। এ ব্যাপারে দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন, এরশাদের ট্রাস্ট ও বিদিশা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে বেগম রওশন এরশাদের পরামর্শ ও জিএম কাদেরের নেতৃত্বেই পার্টি চলছে। করোনার কারণে সব দলের মতো আমাদের পার্টির স্বাভাবিক কর্মকা-ে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে। কিন্তু করোনায় অসহায় মানুষের মাঝে আমরা পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করেছি। ১৪ জুলাই পার্টি চেয়ারম্যানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালনের জন্য আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছি।
পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, এরশাদবিহীন জাপার গন্তব্য কোথায়? এই দল কি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে? নাকি ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে লেজুড়বৃত্তিক কর্মকা-ই চালিয়ে যাবে? দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর জিএম কাদের চেষ্টা করছেন দলকে চাঙ্গা করতে। তার আশা, জাতীয় পার্টি নিজের পায়ে দাঁড় করাবেন নিজের নেতৃত্বে, ভোটের মাঠে ও জনস্বার্থ নিয়ে তারা রাজপথে লড়বেন এককভাবে। কিন্তু তার সেই আশা বাস্তবায়নে কাউকে পাশে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। জানতে চাইলে জাপা’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন আজাদ বলেন, আমাদের দলটি এরশাদকেন্দ্রিক দল ছিল, এটা বলাই যায়। তার প্রয়াণের প্রভাব তো রয়েছেই। তার অনুপস্থিতিতে দলের সবাই অ্যাকটিভ নয়। তবে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চেষ্টা চলছে দলকে সুসংগঠিত করে এগিয়ে নেয়ার। ভোটের রাজনীতিতে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের মিত্র হিসেবে ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ ও তার দল জাতীয় পার্টি। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে সরাসরি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকেই অংশ নিয়েছিল দলটি। এর পর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং সর্বশেষ গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে জাতীয় পার্টি ২২টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের আসনে বসেছে। এর আগে জেনারেল এরশাদ ১৯৯৮ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটে যোগ দিয়ে কিছুকাল পরেই আবার জোট ত্যাগ করেন। ২০১৭ মহাজোট থেকে বেরিয়ে এরশাদ নিজেই সম্মিলিত জাতীয় জোট (সংক্ষেপে ইউএনএ) তাতে ডানপন্থী ও মধ্য ডানপন্থী ৫৮টি দল শরিক হয়। ২০১৮ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি সমাবেশও করেন। কিন্তু সে জোটের হদিস নেই। জানা যায়, সারা দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম একেবারেই বেহাল। ৪০টির বেশি সাংগঠনিক জেলায় কমিটি নেই বছরের পর বছর। তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠন এখন অস্তিত্বহীন বলা চলে। অন্যদিকে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব তো আছেই। কর্মসূচির অভাবে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম একেবারে ‘নেই’ হয়ে গেছে। যদিও করোনা সংকটের দোহাই দিয়ে সংগঠন ভালো আছে এমন সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা শীর্ষ নেতাদের।
নেতাকর্মীরা পার্টির অধিকাংশ এমপির ওপর ক্ষুব্ধ। তাদের অভিযোগ, দলের ২২ জন নির্বাচিত ও চারজন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যের মধ্যে কয়েকজন ছাড়া কেউ সাংগঠনিক দায়িত্ব নিতে চান না। তাদের সঙ্গেও নেতাকর্মীদের দূরত্ব রয়েছে। তারা বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য হিসেবে সুযোগ-সুবিধা নিয়েই ব্যস্ত। ফলে সাধারণ নেতাকর্মীদের সুবিধা-অসুবিধায় পাশে থাকেন না।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, জাপা’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এরশাদ বেঁচে থাকতেই দলের ভাঙন প্রকাশ্য হয়েছিল। রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে কাকে অগ্রাধিকার দেবেন, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। আর ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে দল তো প্রায় দুই ভাগই হয়ে গিয়েছিল। এরশাদ সুতো হয়ে জোড়া লাগিয়ে রেখেছিলেন। এখন তার অবর্তমানে এই দল হয়তো এভাবেই আধা সক্রিয় হয়ে চলবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে। তিনি অবশ্য এসব অভিযোগ-সংকটকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, এখন তো করোনাভাইরাসের কারণে সব দলের অবস্থাই খারাপ। সব দলই তো সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রমও করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে। এটি বড় সমস্যা নয়। করোনা কেটে গেলে আমরা আবার আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে শক্তিশালী করব।
এরশাদের মৃত্যু দিবসে নির্বাচন, ইসির প্রতি ক্ষুব্ধ জাপা : এই ব্যাপারে জাপার কো. চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ১৪ জুলাই জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা লাখো লাখো এরশাদপ্রেমীদের জন্য একটি শোকাবহ দিন। আমরা যথাযোগ্য মর্যাদায় শোক দিবস হিসেবে দিনটি পালন করবো। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ওইদিন দেশের দুটি জেলায় দুটি উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমাদের সবার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
অপরদিকে দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করাকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এরশাদের নাম মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দিয়েছে। জাপার তৃণমূল নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশন সুপরিকল্পিতভাবে ১৪ জুলাই বগুড়া ও যশোরের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করেছে। যাতে ওইদিন এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের খবর সাধারণ মানুষের কাছে না পৌঁছে। এভাবে করে এদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পেছনে এরশাদের অবদান তারা মুছে ফেলার অপচেষ্টা করছে।
দিনটিকে দলীয়ভাবে শোক দিবস হিসেবে পালন করবে জাপার সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। এই জন্য দলের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল. মন্দিরে প্রার্থনা সভা, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, শোক সভা, এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণসহ নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করবে পুরো দেশের জাপার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। কিন্তু ওইদিন নির্বাচন কমিশন বগুড়া ও যশোরের দুটি উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছেন। এর প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা ।
এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পরে তার পরিবার রংপুরে চলে আসেন। রংপুরেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এরশাদ। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭১-৭২ সালে সপ্তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ওই বছরই আগস্ট মাসে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে তাকে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এরশাদকে সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৭৯ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। ১৯৯১ সালে এরশাদ গ্রেফতার হন। ১৯৯১ সালে জেলে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় এরশাদ রংপুরের পাঁচটি আসনে বিজয়ী হন। ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনেও এরশাদ সংসদে পাঁচটি আসনে বিজয়ী হন। ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টি ১৪টি আসনে জয়ী হয়। ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে মহাজোট গঠন করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তার দল ২৭টি আসনে বিজয়ী হয়। এরপর দশম ও সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সাংসদ হন। তিনি চলতি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা ছিলেন।