এসব রেডজোন এলাকা গুলো হলো সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি, দালালবাজার, পার্বতীনগর, বাঙ্গাঁখা, মান্দারী, চন্দ্রগন্জ, কুশাখালী ইউনিয়ন। কমলনগরের তোরাবগন্জ, চর ফলকন, চর লরেন্স ইউনিয়ন এবং রামগতির চর আলেকজান্ডার ইউনিয়ন। এছাড়া লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১'২'৫'৬'৭'১১'১৫ নং ওয়ার্ড এবং রায়পুর ও রামগন্জ পৌর এলাকা।
লকডাউনের ফলে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেসরকারি দপ্তরসমূহ বন্ধ রয়েছে। শহরের বিভিন্ন সড়কে মানুষ এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে চলছে।
রায়পুর পৌরশহরের চেকপোস্টসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় রাস্তায় বের হওয়া লোকজনকে সচেতন করার পাশাপাশি মাস্ক পরিধান না করায় ১৮ জুন তিন জনকে ৫০০/- টাকা জরিমানা করে উপজেলা প্রশাসন।
জেলায় সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে মোট ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরো ২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গফ্ফার জানান, ১৮ জুন বৃহস্পতিবার সকালে রামগঞ্জ পৌর শহরের আঙ্গারপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাবুল কাজী (৬৫) করোনা উপসর্গ নিয়ে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আসেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে তিনি মারা যান। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে।
এছাড়া দুইদিন পুর্বে রামগঞ্জের ইছাপুর ইউনিয়নের সমিতিরর বাজার এলাকায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ সুলতান পাটোয়ারী মারা যান। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করা হলে ওই বৃদ্ধের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এ নিয়ে রামগঞ্জ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সরকারী হিসেবে ৫ জনের মৃত্যু হয়।