ভিবি নিউজ ডেস্কঃ আসন্ন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করছেন গিয়াসউদ্দিন রুবেল ভাট, খাওয়া-দাওয়া নেই, চোখে নেই ঘুম। কোমরবেঁধে ভোটের মাঠে জয়ের নেশায় ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। রাত-দিন সমানতালে চালাচ্ছেন প্রচারনা। প্রার্থীদের জমজমাট আর বিরামহীন প্রচার-প্রচারনায় সরগরম পুরো পৌর এলাকা।
দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই যেন উত্তাপ বাড়ছে। বাড়ছে শংকাও। এবারের নির্বাচনে শুধু মেয়র প্রার্থীরাই নয়, কাউন্সিলর প্রার্থীদের জমজমাট প্রচারনা চলছে। প্রচারণায় পিছিয়ে নেই সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌরসভায়।
এ পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ফেব্রয়ারি। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য আমেরিকার নাগরিক প্রাপ্ত গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট।আরো দেখা যাচ্ছে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে কোমর বেঁধে মাঠে আছেন পৌর বিএনপির সভাপতি এবিএম জিলানী। স্বতন্ত্র হিসেবে মোবাইল মার্কা নিয়ে জনগনের মনোনীত অধ্যাপক মনির আহম্মেদ, ইসলামী স্বাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে হাত পাখা প্রতীকে মাওঃ আব্দুল খালেক, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন নাছির উদ্দিন সগির।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও বিএনপির কোন বিদ্রোহী নেই। তবে দলের মধ্যে রয়েছে তীব্র গ্রুপিং। ফলে বিএনপির ভোট কোন দিকে যাবে তা বলা এখনো মুশকিল।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুবেল ভাট দৈনিক জনতা কে বলেন, নির্বাচন হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ। নির্বাচনকে অনেকেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে। তবে প্রশাসন নিরপেক্ষ ভাবেই কাজ করবে।
এদিকে, বিএনপির প্রার্থী জিলানী নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি শংকা প্রকাশ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন পৌরসভা নির্বাচনগুলোতে যেভাবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ভোট কারচুপি করছে তাতে করে এখানে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে কিনা তা দেখার বিষয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক মনিরের বক্তব্য এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো, তবে ভোটের দিন কি হবে তা বলা মুশকিল। আমরা চাই নিরপেক্ষ ভোট হোক। সেই ভোটে যে নির্বাচিত হবে তাকেই আমরা মেনে নেবো। সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভোট যাতে অনুষ্ঠিত হয় সেদিকে প্রশাসন দৃষ্টি দেবেন এটাই কামনা করি। জনগন ভোট দিতে পারলে তিনি নির্বাচিত হবেন বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এলাকার উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি আর কথার ফুলঝুরি নিয়ে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ও তাদের কর্মীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীদের জমজমাট প্রচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে রায়পুর পৌর এলাকায়।
কথা হয় পৌর এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বেশ কিছু ভোটারের সাথে। তাদের ভাষ্য, পৌরসভাটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার মধ্য রয়েছে। এখানে উন্নয়ন বলতে তেমন কিছুই হয়নি। পৌর এলাকার উন্নয়ন যিনি করতে পারবেন তাকেই তারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। তাছাড়া সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত পৌরসভা গঠনে যারা ভূমিকা নেবেন তাদের পাশেই রয়েছেন সাধারন ভোটারেরা।
এ পৌরসভায় মোট ভোটার ২৩ হাজার ৬শ ৩১ জন। মেয়র পদে ৫ জন, কাউন্সিলর পদে ৪৮ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।