ভিবি নিউজ ডেস্কঃ
আয়না মিথ্যা বলতে জানে না। সত্য প্রকাশের জন্যই তার সৃষ্টি। মানুষের চেহারা খারাপ হলে খারাপ বলে, ভালো হলে ভালো। আয়নাতে কারো চেহারা যদি খারাপ দেখায়, আয়না ভেঙে ফেললে তার সমাধান হবে কি?
সমাজের আয়না, জাতির বিবেক খ্যাত গণমাধ্যমের উৎপত্তি গণমানুষের সার্বিক কল্যাণে। তাদের সুখ-দুঃখ, হতাশা-দুর্দশা, অপরাধ, অনাচার, দুর্নীতি প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরাই গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য। শুধু তাই নয়, সমাজের নেতিবাচক দিকগুলোর সংশোধনের পথ বাতলে দিয়ে নৈতিক ও মানবিক সমাজ গঠনের দিকদর্শনও গণমাধ্যম। তার জন্য চাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। স্বাধীন গণমাধ্যমই পারে লক্ষ্য পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে। গণমাধ্যমের উদ্ভাবনশক্তি নিয়ে গত ২১ জানুয়ারি এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তারা গণমাধ্যমের কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন। সেখানে উঠে আসে সমাজের আয়না ভেঙে ফেলার মতো কিছু বিষয়। অনুষ্ঠানে একাধিক সম্পাদকবৃন্দ বলেছেন, ‘সরকারের নিয়ন্ত্রণমূলক আইন গণমাধ্যমের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।’ কেউ কেউ বলেছেন, ‘খবর প্রকাশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মানহানির মামলা বাধা তৈরি করছে।’ সমাজের নানা সংবাদ প্রকাশে বাধা থাকলে ঘটনা কিন্তু থেমে থাকার নয়। ঘটনা এবং নানা অঘটন নিয়ত ঘটেই চলেছে। ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক বলেছেন আরো গুরুতর কথা। তিনি বলেছেন, ‘প্রচারণা ও মিথ্যা খবরের পেছনে প্রচুর বিনিয়োগ করা হচ্ছে।’ যা কি-না আয়না ভেঙে ফেলার শামিল।