ভি বি রায় চৌধুরীঃ
অপরাধ আর ন্যায়বিচারের গলাগলি অবস্থান। তাই যেকোনো স্থানে অপরাধ সংঘটিত হলে সেখানে ন্যায়বিচার হুমকির মধ্যে পড়ে যায়। কোথাও অন্যায় থাকা মানেই তা ন্যায়বিচারের জন্য হুমকিস্বরূপ। অপরদিকে, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে অপরাধ কমে যায়। এ বিষয়ে সমাজ বিশ্লেষকগণ বলেন, ন্যায়বিচার নিয়ে কথা বলার সময় সেটি সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য ন্যায় কিনা সেটা ভেবে দেখার গুরুত্ব অনেক বেশি। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, দৃশ্যমান বিচারের বাইরেও একটা বিচার আছে। সেখানে মৌলিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে কিনা সেটি বিবেচনায় নিতে হবে। তিনিও মনে করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য ন্যায়বিচার করা সম্ভব না হলে সিস্টেম বদলাতে হবে।
কোনো দেশের সাধারণ নাগরিকেরা দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের দাম
কেমন যাচ্ছে, দেশে সুশাসন আছে কিনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন, সর্বোপরি দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে কিনা এই বিষয়গুলোর ওপরে বেশি দৃষ্টি দেয়। মোট কথা, রাষ্ট্রীয় কোনো অপরাধ যেমন_ ঘুষ বাণিজ্যের নির্মূল, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকে তারা অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যেখানে রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থ নিহিত। বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রকট হলে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থ ব্যাহত হয়। যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ব্যতিত একটি দেশ আগাতে পারে না, দেশের মানুষ ভালো থাকতে পারে না। তাছাড়া ন্যায়বিচার না থাকার কারণে কোনো দেশের শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল সেক্টরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। শুধু তাই নয়, কোনো দেশের দুর্নীতির কারণে বহির্বিশ্বে সেই দেশের সুনাম নষ্ট হয়।