লক্ষ্মীপুরে গলাকাটা বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহক! অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা  !

  1. ভিবি নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুর জেলার উপশহর দালাল বাজার সহ  রায়পুর পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নে বসবাসরত বাসিন্দারা বিদ্যুৎ বিল নিয়ে নানা ভোগান্তিতে রয়েছেন। লক্ষ্মীপুর পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগের এমন মনগড়া অতিরিক্ত বিলের কারণে গ্রাহকরা এক প্রকার দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। আরো দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে, হাট বাজারে রাস্তার পাশে গড়েউঠা অবৈধ দোকান পাটে বিদ্যুৎ সংযোগে নেই কোন কর্তৃপক্ষের তৎপরতা,  যেন লক্ষ্মীপুর পল্লি বিদ্যুৎ অফিসে দেখার কেউ নাই ?

বিশ্বব্যাপি মহামারী করোনার (কোভিড-১৯) এ পরিস্থিতিতে যেখানে পরিবার চালানো কঠিন সেখানে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকেরা। এনিয়ে গ্রাহকগণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্যুতের এসব অনিয়ম তুলে ধরেও কোনো রকম প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানায়।
আরো জানা যায় সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজার, রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে রাস্তার পাশে গড়েউঠা অবৈধ দোকান পাটে পল্লি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের লিখিত  অনুমতি না নিয়েই কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে।
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল:
“”””””””””””””””””””””””””””
সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজারের ভুক্তভোগী সোহম বসু রায় চৌধুরী,
রায়পুর পৌর ৫নং ওয়ার্ডের মো. রহমান মিয়া’, জসিম উদ্দিন সহ একাধিক ভুক্তভোগী গণমাধ্যম’কে জানায়, আমাদের ওয়ার্ডে অনেক মাস যাবৎ বিদ্যুৎ অফিস থেকে মিটার চেক করতে কেউ আসে না। কিন্তু যেমন ইচ্ছে তেমন বিল করেন।
এমতবস্থায় ১ হাজার টাকা বাড়তি বিল পরিশোধে আমরা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো হিমসিম খাচ্ছি। আমি অভিযোগ নিয়ে অনেকবার বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েছিলাম। অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ১ বা ২ মাস ঠিক করে দিলেও পরের মাস থেকে পুনরায় গলা কাটা বিল করেন।
অপরদিকে, উপজেলার ৭নং বামনী ইউনিয়নের ভুক্তভোগী একাধিক গ্রাহক জানিয়েছে, লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ রায়পুর অফিসে গত ১ বছর সময়ের বেশি সময় ধরে বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ করে আসলেও ওই অভিযোগের প্রথমে পরিস্থিতির অজুহাত দিয়ে তা পার করে দেয়।
এরপরে দফায় দফায় অভিযোগ করা হলে এক বা দুই মাস সঠিক বিল প্রদান করেন। বাড়তি বিলের অভিযোগ দিতে দিতে প্রায় প্রত্যেক পরিবার ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। আমরা চাই বিদ্যুৎ কর্মীরা যেনো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভালোভাবে মিটার দেখে বিল করেন। অহেতুক গ্রাহকদের হয়রানি না করতেও অনুরোধ জানান তারা।
জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিভাগ মিটার রিডাররা প্রতিমাসে মিটার দেখে রিডিং লিখে তা অফিসে জমা দেন। পরে অফিস কর্তৃক বিল তৈরী করা হয়। কিন্তু বর্তমানে বেশ কয়েক মাস যাবৎ মিটার রিডারগণ মিটার না দেখে মনগড়া বিল ধরিয়ে দিচ্ছে গ্রাহকদের।
মিটার রিডারদের এমন অবহেলা অতিরিক্ত বিল বা বিলের কাগজে মোটা অংকের টাকা উল্লেখ থাকায় গ্রাহকগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। তা- ছাড়া উলটো অভিযোগ দিতে গিয়েও হয়রানির শিকারেহতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে রায়পুর পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল ম্যানেজার মো. আরিফুল ইসলাম জানান, গ্রাহকের বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ বেশী হলে বিল তো বেশী হবে। হয়তো কোনো কোনো বিলের সমস্যা হয়েছে। এ সমস্যাজনিত কারণে গ্রাহকরা বিলের কপি নিয়ে অফিসে আসলে তা সমাধান করা হবে।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও আমরা মৌখিক অভিযোগ পেয়ে পরবর্তীতে তা সমাধান করা দিয়েছি।বর্তমানে কোনো প্রকার লিখিত অভিযোগ করা হলে পুনঃরায় খতিয়ে দেখব আমরা। তা-ছাড়া বিদ্যুৎ বিল তৈরী জন্য আমাদের প্রতিটি এলাকায় কর্মী রয়েছে যদি তাদের কোনো অবেহেলা থাকে তা-হলেও সেটার বিরুদ্ধে যাথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, বিদ্যুৎ বিলের এমন ঝামেলা বা ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসীর একটাই মাএ প্রত্যাশা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষদের দৃষ্টি আকর্ষনে রায়পুরবাসী যেন এ গলা কাটা বিদ্যুৎ বিল থেকে মুক্তি পায়।

অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার পল্লিবিদ্যুৎ এর জিএমের সাথে আমাদের এপ্রতিবেদক  মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তার পাশে গড়েউঠা অবৈধ দোকান পাটে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার বিষয়টি যখন আমি জেনেছি, অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবো বলে তিনি আমাদের  নিশ্চয়তা প্রদান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *