মিজানুর শামিমঃ লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনা উপসর্গে আরোও তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, সদর উপজেলার হাসন্দি এলাকার ৭০ বছরের ওসমান গণি ও একই উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকার ৬৫ বছরের স্কুল শিক্ষক নাজির উল্যা জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন।
এছাড়া রামগঞ্জ উপজেলার ভাটড়া ইউনিয়নের নলচরা গ্রামের তোহা ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী মাহমুদুল হাসান তোহা (৫০) আজ ২৭ জুন সকালে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরন করেন বলে জানা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামগঞ্জের জেনারেল ফার্মার ম্যানেজার প্রনব বণিক।
এ পর্যন্ত করোনা উপসর্গে লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রায় ৬৩ জন মারা গেলেও তাদের নমুনা সংগ্রহের পর ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর দুইজন করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আজ ২৭ জুন শনিবার বিকেলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে আরও ১০ জন নতুন কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত হয়েছে বলে জানানো হয়। এতে মোট ৪৪ টেস্টের ১০টি পজিটিভ রেজাল্ট আসা সকলেই সদর উপজেলার বাসিন্দা।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬৮ জন এর মধ্যে সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৩৮৭ জন, রায়পুর ৭০ জন, রামগঞ্জ ১২৯ জন, কমলনগর ১২১ জন ও রামগতিতে ৬১ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৩০, মোট মৃত ১৫, বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৪১৩ জন।
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্মীপুর সদরসহ ৫টি উপজেলার ৪টি পৌর এলাকা ও ১১টি ইউনিয়নে গত ১৬ জুন সকাল থেকে শুরু হয় রেডজোনের লকডাউন। এতেকরে আজ ২৭ জুন শনিবার দ্বাদশ দিনে ডিলেডালা ভাবে জেলার রেডজোন লকডাউন কার্যক্রম চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার রেডজোন এলাকা:-
সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি, দালালবাজার, পার্বতীনগর, বাঙ্গাঁখা, মান্দারী, চন্দ্রগন্জ, কুশাখালী ইউনিয়ন। কমলনগরের তোরাবগন্জ, চর ফলকন, চর লরেন্স ইউনিয়ন এবং রামগতির চর আলেকজান্ডার ইউনিয়ন।
এছাড়া লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১’২’৫’৬’৭’১১’১৫ নং ওয়ার্ড এবং রায়পুর ও রামগন্জ পৌর এলাকা।
লকডাউনের ফলে বেশিরভাগ এলাকার দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বন্ধ রয়েছে। সরকারি বেসরকারি দপ্তরসমূহ বন্ধ (জরুরী সেবা ব্যতিত) আছে। শহরের বিভিন্ন সড়কে মানুষ এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে চলছে।
**রায়পুরে এনজিওর কিস্তি আদায়ে চাপ দেয়া যাবেনা: ইউএনও
করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলেও আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত প্রাপ্য কোন কিস্তি বা ঋণকে বকেয়া বা খেলাপী দেখানো যাবে না অথবা ঋণ গ্রহীতাদেরকে কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না।
কোন আগ্রহী সক্ষম গ্রাহক ঋণের কিস্তি পরিশোধে ইচ্ছুক হলে সেক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণে কোন বাধা থাকবে না।
**রামগঞ্জেও এনজিওর কিস্তি আদায় চাপ দেয়া যাবেনা: ইউএনও
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রাপ্য কোন কিস্তি/ঋণ কে বকেয়া/খেলাপী দেখানো যাবে না। এসময় কোন ঋণ গ্রহীতাকে কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না, তবে কোন আগ্রহী সক্ষম গ্রাহক কিস্তি পরিশোধে ইচ্ছুক হলে সে ক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণে কোনও বাধা থাকবে না।