সংবাদ শিরোনামঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৫৫ পিচ ইয়াবা টেবলেট সহ ওয়ারেন্ট ভুক্ত ২ জন, মাদক কারবারি ১ জন গ্রেপ্তার মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া এমরানের পাশে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ লক্ষ্মীপুর এক খালে মিললো যুবকের লাশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করলেন পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ কোন ধরনের অপ্রিতিকরসমস্যা ছাড়াই শেষ হলো মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা লক্ষ্মীপুরে চায়ের দোকানে আগুনে পুড়ে একজনের মৃত্যু লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে অভয় পাটোয়ারী বাড়ির সার্বজনীন দূর্গা ও গৌর মন্দিরের রাস্তা অবরোধ করে পাকা ভবন নির্মানের অভিযোগ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জাল দলিল সৃজন করে ভাইয়ের সম্পত্তি ভোগ করার অভিযোগ, ভাইদের মাঝে ক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে সেই শিশুর মায়ের সন্ধান পেয়ে ফেসবুকে যা লিখেছেন এসপি মাহফুজ্জামান লক্ষ্মীপুরের রায়পুর চরবংশি বাজার সংলগ্ন সরকারি খালের উপর অবৈধভাবে ব্রীজ তৈরি করে সুমন, এলাকায় জনমনে ক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে পুলিশ কনস্টেবল ৬৬ পদে ২০৯২ প্রার্থীর প্রতিযোগিতা শুরু লক্ষ্মীপুরে শর্টপিচ ক্রিকেটে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন জামতলী মিজি বাড়ী একাদশ অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুরে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাত দফা দাবী আদায়ে গণসমাবেশ লক্ষ্মীপুরে কনস্টেবল নিয়োগ বিষয়ে পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামানের সচ্চতা ও দিকনির্দেশনা লক্ষ্মীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পিআইওর কুপ্রস্তাবে রাজি হয়নি সংবাদ সম্মেলনে শারমিন আক্তার

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পিআইওর কুপ্রস্তাবে রাজি হয়নি সংবাদ সম্মেলনে শারমিন আক্তার

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পিআইওর কুপ্রস্তাবে রাজি হয়নি সংবাদ সম্মেলনে শারমিন আক্তার

স্টাফ রিপোর্টার : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রিয়াদ হোসেন আমার স্বামী আবদুল বাকেরকে মিথ্যা অভিযোগে থানায় আটকে রেখেছে। মঙ্গলবার ২৯ জুন দুপুরে জেলা শহরে একটি পত্রিকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আবদুল বাকেরের স্ত্রী শারমিন আক্তার   পিআইও’র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল বাকেরের স্ত্রী শারমিন আক্তার লিখিত বক্তব্যে জানান, পিআইও রিয়াদ কমলনগরে দায়িত্ব পাওয়ার পর একদিন স্বামী বাকেরের সঙ্গে দেখা করতে তিনি পিআইওর কার্যালয়ে যান। কার্যালয়ের পেছনেই সরকারি কোয়ার্টারে তারা থাকেন। ঐদিন দেখার পর থেকেই পিআইও বিভিন্নভাবে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। এই অনৈতিক কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তার স্বামীকে সদর উপজেলা কার্যালয়ে বদলি করা হয়।দীর্ঘ ১১ মাস পর তার স্বামী কমলনগরে যোগদান করে। কিন্তু পিআইও কাজ বুঝিয়ে দেয়নি। ২৮ জুন ২০২১ ইং সোমবার ১৬ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে পিআইও রিয়াদ তার স্বামীসহ ৪ জনকে পুলিশের সহযোগীতায় থানায় নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগী অভিযোগে জানান। এরপর সন্ধ্যায় বাসায় এসে পিআইও নিজেই আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে রিয়াদ অভিযোগ কারিণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। মূলত কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা অভিযোগ এনে তার স্বামীকে পিআইও থানায় আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শারমিন।

এদিকে পুলিশ বলছে থানা থেকে বাকেরসহ ৪ জনকে পিআইও ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। তবে বাকেরের স্ত্রী শারমিন জানিয়েছেন, তার স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

জানা গেছে, রিয়াদ রামগতি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। তিনি কমলনগর উপজেলার শূন্যপদে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন।

ভূক্তভোগী বাকের কমলনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর। এছাড়া একই কার্যালয়ে কর্মরত মেহেদি হাসান ও আলমগীরসহ ৩ জন থানায় আটক রয়েছে। কার্যালয় থেকে ১৬ লাখ টাকা চুরির অভিযোগ এনে পিআইও রিয়াদ তাদেরকে সোমবার ২৯ জুন রাতে থানায় নিয়ে আটকে রেখেছেন। তবে থানা পুলিশ বলছে এখনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেয়নি পিআইও।

একজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ নাম প্রকাশ না করা সর্তে আরো ৫ ব্যক্তি জানিয়েছেন, জুন ক্লোজিং উপলক্ষে পিআইও তাদের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছেন। তাদেরকে বাধ্য করা হয়েছে। ঘুষের এ ১৬ লাখ টাকা নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের বিল দেওয়ার কথা। অভিযোগ কারিণী সরকারের নিকট সবিনয়ে প্রার্থনা করেন যেন বিষয়টি দুদকের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করলে, পিআইওর বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।

দুপুর ২টার দিকে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, পিআইও নিজেই সোমবার রাতে তার ৪ কর্মচারীকে থানায় নিয়ে এসেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পিআইও নিজেই আবার তাদেরকে নিয়ে গেছে। কার্যালয় থেকে কিছু টাকা চুরির হওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনি কর্মচারীদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে কত টাকা তা জানায়নি। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগও করেনি।

তবে দুপুর ২ টা ৭ মিনিটে শারমিন আক্তার বলেন, সারারাত আমার স্বামী থানায় ছিল। এখন কোথায় আছে আমি জানি না। আমার স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

জানতে চাইলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাসেল ইকবাল বলেন, অফিসিয়ালভাবে ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। তবে আমি অন্য মাধ্যমে শুনেছি।

এ ব্যাপারে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি পিআইও কার্যালয়ের নিজস্ব ব্যাপার। শুনেছি ৪ জনকে থানায় ডাকা হয়েছে। তবে কি কারণে তা আমি বিস্তারিত জানি না। পিআইও আমাকে এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি।

 

স্টাফ রিপোর্টার : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রিয়াদ হোসেন আমার স্বামী আবদুল বাকেরকে মিথ্যা অভিযোগে থানায় আটকে রেখেছে। মঙ্গলবার ২৯ জুন দুপুরে জেলা শহরে একটি পত্রিকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আবদুল বাকেরের স্ত্রী শারমিন আক্তার   পিআইও’র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল বাকেরের স্ত্রী শারমিন আক্তার লিখিত বক্তব্যে জানান, পিআইও রিয়াদ কমলনগরে দায়িত্ব পাওয়ার পর একদিন স্বামী বাকেরের সঙ্গে দেখা করতে তিনি পিআইওর কার্যালয়ে যান। কার্যালয়ের পেছনেই সরকারি কোয়ার্টারে তারা থাকেন। ঐদিন দেখার পর থেকেই পিআইও বিভিন্নভাবে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে।  এই অনৈতিক কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তার স্বামীকে সদর উপজেলা কার্যালয়ে বদলি করা হয়।দীর্ঘ  ১১ মাস পর তার স্বামী কমলনগরে যোগদান করে। কিন্তু পিআইও কাজ বুঝিয়ে দেয়নি। ২৮ জুন ২০২১ ইং সোমবার ১৬ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে পিআইও রিয়াদ তার স্বামীসহ ৪ জনকে পুলিশের সহযোগীতায় থানায় নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগী অভিযোগে জানান। এরপর সন্ধ্যায় বাসায় এসে পিআইও নিজেই আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে রিয়াদ অভিযোগ কারিণীর  শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। মূলত কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা অভিযোগ এনে তার স্বামীকে পিআইও থানায় আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শারমিন।

এদিকে পুলিশ বলছে থানা থেকে বাকেরসহ ৪ জনকে পিআইও ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। তবে বাকেরের স্ত্রী শারমিন জানিয়েছেন, তার স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

জানা গেছে, রিয়াদ রামগতি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। তিনি কমলনগর উপজেলার শূন্যপদে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন।

ভূক্তভোগী বাকের কমলনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর। এছাড়া একই কার্যালয়ে কর্মরত মেহেদি হাসান ও আলমগীরসহ ৩ জন থানায় আটক রয়েছে। কার্যালয় থেকে ১৬ লাখ টাকা চুরির অভিযোগ এনে পিআইও রিয়াদ তাদেরকে সোমবার ২৯ জুন রাতে থানায় নিয়ে আটকে রেখেছেন। তবে থানা পুলিশ বলছে এখনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেয়নি পিআইও।

একজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ নাম প্রকাশ না করা সর্তে আরো ৫ ব্যক্তি জানিয়েছেন, জুন ক্লোজিং উপলক্ষে পিআইও তাদের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছেন। তাদেরকে বাধ্য করা হয়েছে। ঘুষের এ ১৬ লাখ টাকা নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের বিল দেওয়ার কথা। অভিযোগ কারিণী সরকারের নিকট সবিনয়ে প্রার্থনা করেন যেন বিষয়টি দুদকের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করলে, পিআইওর বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।

দুপুর ২টার দিকে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, পিআইও নিজেই সোমবার রাতে তার ৪ কর্মচারীকে থানায় নিয়ে এসেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পিআইও নিজেই আবার তাদেরকে নিয়ে গেছে। কার্যালয় থেকে কিছু টাকা চুরির হওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনি কর্মচারীদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে কত টাকা তা জানায়নি। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগও করেনি।

তবে দুপুর ২ টা ৭ মিনিটে শারমিন আক্তার বলেন, সারারাত আমার স্বামী থানায় ছিল। এখন কোথায় আছে আমি জানি না। আমার স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

জানতে চাইলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাসেল ইকবাল বলেন, অফিসিয়ালভাবে ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। তবে আমি অন্য মাধ্যমে শুনেছি।

এ ব্যাপারে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি পিআইও কার্যালয়ের নিজস্ব ব্যাপার। শুনেছি ৪ জনকে থানায় ডাকা হয়েছে। তবে কি কারণে তা আমি বিস্তারিত জানি না। পিআইও আমাকে এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি।