ভিবি নিউজ-২০১৭ সনের অক্টোবর এ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুুল এর কাছে উনার রায়পুরের মানুষদের নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও উনার পারিবারিক বিষয় সমন্ধে জানতে চাইলে ওই মুহুর্তে তিনি বলেছিলেন। রাজনীতি আর অর্থনীতি যে কোন দেশের মেরুদন্ড ,আমি প্রথমে আমার জন্মস্থান প্রিয় রায়পুরবাসির সেবা করতে চাই, অতঃপর দেশ সেবায় নিজকে নিয়োজিত করে চাই” কথাগুলো বললেন, রায়পুরের রাজনীতিতে ওই সময়ের আলোচিত ব্যক্তি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল বর্তমানে তিনি রায়পুর লক্ষ্মীপুর ২ আসনের এমপি।
বর্তমানে তিনি তথ্য সন্ত্রাস আর রাজনৈতিক ও ব্যাবসায়িক ভাবে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কুয়েতের একটি কারাগারে ২১ দিনের আটকাদেশ আছেন।
এমপি পাপুল রায়পুর পৌরসভাস্থ রায়পুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কাজি বাড়ীতে জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবা কাজী নুরুল ইসলাম, মা কাজী তহুরুন্নেসা। বাবা সেনাবাহীনিতে চাকুরি করতেন, সেই সুবাদে চট্রগ্রাম ক্যান্টনম্যান্ট স্কুল থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করেন, শেষ করেন সিটি ইউনিভার্সিটি আমেরিকা থেকে।
এমপি পাপুল চার মেয়ে এবং এক ছেলের জনক।বড় দুই মেয়ে ইতোমধ্যেই নিজেদেরকে সমাজ সেবায় সম্পৃক্ত করেছেন,কাজী ওয়াফা ইসলাম বাংলাদেশ সহ আফ্রিকার দরিদ্রপিড়িত অঞ্চলে ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে জাতিসঙ্ঘ এবং আফ্রিকার রাষ্টগুলোর সংগে কাজ করেছেন,বাংলাদেশে তরুনদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে গনসচেতনতা মুলক কার্যক্রমের সংগেও যুক্ত হয়েছেন।
মাননীয় পাপুল’র সহধর্মিনী এমপি সেলিনা ইসলাম (সিআইপি) কুমিল্লার মেঘনা অঞ্চলে নানা ধরনের সমাজসেবা মুলক কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহন করে যাচ্ছেন।
এমপি পাপুল’র মা কাজী তহুরুন্নেসা রায়পুরের গরীব সাধারন মানুষের সেবার কথা ভেবে নিজ গ্রামে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেছেন। এমপি পাপুল গরিব অসহায় মানুষের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার ত্রান তহবিলে কয়েক কোঠি টাকা অনুদান দিয়েছেন। রংপুরও দিনাজপুর হত দরিদ্র বন্যাক্ষতিগস্থদের মাঝে এবং মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত অসহায় রোহিঙ্গাদের মাজে খাদ্য সামগ্রী সহ নগদ অর্থ সাহায্য করেছেন। কুয়েতে ১২ শত শ্রমিককে রেসিডেন্সের ব্যাবস্তা করে চাকরি দিয়েছেন। এবং শত শত মানুষকে ব্যাবসা করার জন্য নগদ অর্থ এবং অসহায় অনেক মানুষ কে চাকুরী দিয়ে নগদ অর্থ দিয়ে এবং উনার কোম্পানিতে আকামা লাগিয়ে সাহায্য করেছেন। অনেক মৃত দেহ উনার খরছে দেশে পাঠিয়েছেন। এভাবে উনার সাহায্য সহযোগিতার হিসেব দিয়ে শেষ করা যাবেনা।
রায়পুবাসীর জন্য একটি ভ্রাম্যমান দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করবেন বলে জানিয়েছেন।গরীব সংকটাপন্ন রোগীদের জরুরী পরিবহনের জন্য একটি এ্যম্বুলেন্স প্রদান করেন রায়পুর পৌরসভায়
রায়পুর থানার পুলিশের কাজের গতি বাড়াতে একটি পিকআপ ও দুইটি মটর সাইকেল প্রদান করেন।জেলা পুলিশের রোগীদের সেবার জন্য তিনি সেখানেও একটি এ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন। গ্রামের আইন শৃঙ্খলার কথা ভেবে গ্রাম্য চৌকিদারদের মাঝে ১০০ টি বাই সাইকেল ও দুস্হ মহিলাদের জন্য ১০০টি সেলাই মেশিন প্রদান করেছেন।১০ টি ইউনিয়ন আঃলীগ’র সভাপতি ও সাঃ সম্পাদকদেরকে একটি করে মোটর সাইকেল উপহার দিয়েছেন। তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী ও দলীয় কর্মীদের উৎসাহিত করতে ৬০ টির অধিক মটর সাইকেল এবং রায়পুরের ১০ টি ইউনিয়নে দলিয় অফিস করে প্রতিটা অফিসে,(এল সি ডি) টিভি এবং প্রতি মাসে অফিস খরছ প্রদান করে যাচ্ছেন। তৃনমূলে দলকে সু-সংগঠিত করতে প্রতি ওয়ার্ডে উঠোন বৈঠকের ব্যাবস্থা করেছেন। তিনি হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য বস্র বিতরন করেন।
আরো স্বরনীয় বিষয় হচ্ছে এই প্রথম রায়পুরে ইমাম মুয়াজিনদের কল্যানে বিরাট আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন। জেলার গরীব অসহায় রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্হা করেছেন লাখ লাখ টাকা দিয়ে। শত শত বেকার যুবক কে ব্যাবসা করার জন্য নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন। নিজ অর্থায়নে হাজার গরিব অসহায় মানুষের মাজে খাদ্য বস্র সহ নগদ কোঠি কোঠি টাকা সাহায্য করেছেন।
রায়পুরের তরুণদের কর্মসংস্থানে উন্নতমানের একটি কারিগরি ইনিস্টিটিউট করার পরিকল্পনা আছেন বলে তিনি জানান, ইতোমধ্যে ইনিস্টিটিউটের জন্য রায়পুরে জায়গা দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এমপি পাপুল।
ব্যক্তিগত জীবনে একজন সফল ব্যবসায়ী তিনি, মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপের এম ডি এবং সিইও, যে প্রতিষ্ঠনে কাজ করছে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক,যার বেশীরভাগই বাংলাদেশি। বাংলাদেশে এন আর বি কমার্শিয়াল ব্যংকের অন্যতম পরিচালক এবং এন আর বি সিকিউরিটিসের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এমপি পাপুল জানান, ২০০২ সালে আমেরিকান আর্মিসহ একাধিক প্রাইম ইউ এস গভর্নমেন্ট কন্ট্রাক্টে ৮২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন। কুয়েত সরকারের দেড়শ’ মিলিয়ন ডলারের আরেকটি কাজ পেয়ে, এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
২০০৭ সালে সফল ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় মারাফিবগ্রুপের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান। এক পর্যায়ে দেখা গেলো কুয়েতে আমাদের গ্রুপটি উঠে এসেছে অন্যতম শীর্ষস্থানে। কুয়েত জুড়ে ইলেকট্রিক্যাল কস্ট্রাকশন, ইন্টারন্যাশনাল মানি রেমিটেন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং মেইনটেনেন্স (অয়েল অ্যান্ড গ্যাস) ইউএস আর্মি ও জাতিসংঘের সঙ্গে মিলিটারি সাপোর্ট কন্ট্রাক্ট, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, ট্রান্সপোর্টেশন লজিস্টিক, আর্মড, নন আর্মড আইটি সিকিউরিটি, ফিশিং, এক্সপোর্ট ইম্পপোর্ট, ইন্টারনাশনাল ব্র্যান্ড ও মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির স্পন্সার, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সিসহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে আলোচিত এ বাণিজ্যিক গ্রুপটি।
এমপও পাপুল বলেন, প্রথমে আমি একজন ব্যবসায়ি এবং একই সংগে রাজনীতি ও আমার জীবনের ব্রত। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারি, সেই ছোট বেলা থেকেই তিনি আমার প্রান পুরুষ। বর্তমানে জননেত্রি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহা সড়ক অতিক্রম করছে,দেশের একজন ক্ষুদ্র নাগরিক হিসেবে সেই মহাসড়কে নিজকে শামিল করতে চাই।
আর এ জন্যই আমার সক্রিয় রাজনীতিতে আসা। প্রিয় রায়পুরবাসির উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে নিজকে সম্পৃক্ত রাখতে চাই।
আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন, আমার পাওয়ার কিছু নেই, আমি রায়পুরবাসিকে দিতে এসেছি, আমার দ্বার রায়পুরবাসির জন্য উন্মুক্ত।
রায়পুরের উন্নয়ন ও সমস্যা প্রসঙ্গে এমপি পাপুল বলেন,যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নতি করতে হবে, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাত অনেক পিছিয়ে। এখানে সয়াবিন এবং নারিকেল সুপারি কেন্দ্রিক মাঝারি শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। হাজিমারায় একটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে।
সর্বোপরি এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি গ্যাস সংযোগের সাথে আমি একাত্মতা পোষন করছি। এমপি পাপুল বলেন, আমার ব্যক্তিগত কোন অভিলাশ নেই, একমাত্র উদ্দেশ্য রায়পুরবাসীর সেবা করা, সে জন্য ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি রাষ্ট্রিয় কাঠামোর অংশ হিসেবে থাকা অত্যাবশ্যক মনে করি। ধন্যবাদ সবাই কে,জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।