সোহেল আলম রায়পুর প্রতিনিধি :
গেলো ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার ২য় স্বাধীনতার পর লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে বিএনপির ব্যানারে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে লুটপাট ও মাছ ঘাট দখলের অভিযোগ উঠে কয়েকজন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলা কৃষক দলের সেক্রেটারি গাজী মোঃ শামীম এর নেতৃত্বে এবাদুল্লাহ গাজী, মোঃ আলী খান, ছাত্রদল সভাপতি আদনান হাবিব, রেহান উদ্দি গাজী, মনির দর্জি, শাহ আলী, আঃ জলিল দর্জি, সায়েম গাজী সহ তাদের গ্রূপের প্রায় শতাধিক লোক সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে এলাকায় ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। দিনের আলোয় খাশের হাট বাজারে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে লুটপাট, জমি দখল, দোকানপাট ও মাছ ঘাট দখল করে নেওয়ার একাধিক অভিযোগসহ বিএনপির ত্াী েতদের অফিস ভাংচুর করে ব্যাপক সংঘর্ষ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, মেহেদি, শরিফ বাগ, এল এম সোহাগ, মহি উদ্দি, দেলোয়ার, তানজিমসহ আরও অনেকে।
গত ৩১ আগস্ট (শুক্রবার) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক দফায় খাশের হাট বাজারে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ ও তান্ডব চালিয়ে খাশের হাটের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তুলেন বিএনপির ব্যানারে অভিযুক্ত এসকল সন্ত্রাসীরা।
এছাড়াও গত ২ সেপ্টেম্বর ( সোমবার) সকালে আলতাফ মাষ্টার ঘাটটি-ও দখল করে নেয় তারা। সাজু মোল্লার ঘাট শফি মোল্লা সহ কয়েকজন ও হাজিমারা মাছ ঘাট গিয়াস উদ্দিন মেম্বার সহ কয়েকজনে দখল করে নেয়।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে এবাদুল্লাহ গাজী বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়ে আসছি। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। এখন গাজী সামীম এর নেতৃত্বে আমরা মাস্টার ঘাটটি দখল করেছি। ”
এবিষয়ে উপজেলা কৃষক দলের সেক্রেটারি সামীম গাজী বলেন, ” মাস্টার ঘাট ইতিপূর্বে আমাদেরই ছিল, গত ৫ তারিখে স্বৈরাচার সরকার পতনের পর আলতাফ হোসেন মাস্টারের লোকজন ঘাট রেখে পালিয়ে যায়। তাই ঘাট আমরা পূনরায় আমাদের দখলে নিয়ে নেই। বর্তমানে আমার দখলে রয়েছে। ”
এবিষয়ে রায়পুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. মনিরুল ইসলাম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, আমি গত কয়েকদিন যাবত শারীরিকভাবে অসুস্থ। কে বা কারা কি করছে আমার জানা নাই।
সোহেল আলম
রায়পুর
তাং০৫/০৯/২০২৪