সংবাদ শিরোনামঃ
দেশব্যাপি বাড়ছে সামাজিক অপরাধ, দরকার জরুরি পদক্ষেপ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অধঃস্তন পুলিশ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষায় পুলিশ সুপার মোঃ আক্তার হোসেন ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প: সৌজন্যে আলিফ মীম হাসপাতাল লক্ষ্মীপুরে নবাগত পুলিশ সুপার আক্তার হোসেনের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় লক্ষ্মীপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলামের আগমনে জেলাপ্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের শুভেচ্ছা কমলনগর উপজেলা আ’ লীগের সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দিনের সুস্থতায় কমল নগরের মানুষের মাঝে আনন্দ অশ্রু বৃহত্তর নোয়াখালী আন্ত:স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা -২০২৩ লক্ষ্মীপুর কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত ফুটপাত দখলমুক্ত করা প্রয়োজন ঔষধ কোম্পানি গুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ফেরত নিতে গড়িমসি করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভোক্তারা লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র -গুলি সহ যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার, লক্ষ্মীপুর -৩ সদর আসনের নির্বাচনে অনিয়ম রোধে অনুসন্ধান কমিটি লক্ষ্মীপুরের কৃতি সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড,মাকসুদ কামালকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান দুস্থ মানবতার সেবায় এগিয়ে আসা “সমিতি ওমান ” কর্তৃক চট্টগ্রামে ইফতার সামগ্রী বিতরণ
দেশব্যাপি বাড়ছে সামাজিক অপরাধ, দরকার জরুরি পদক্ষেপ

দেশব্যাপি বাড়ছে সামাজিক অপরাধ, দরকার জরুরি পদক্ষেপ

 

ভি বি রায় চৌধুরী -দেশব্যাপী প্রতিনিয়ত বাড়ছে সামাজিক অপরাধ। এর মূল কারণ, আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকা, মৌলিক চাহিদা পূরণ না হওয়া, রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকা ইত্যাদি। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দেখা যায়, সামাজিক অপরাধ অনেকটা ব্যারোমিটারের মতো কাজ করে থাকে। যখন অর্থনীতিতে কিছুটা সক্ষমতা আসে তখন অপরাধ কমে আসে, আবার অর্থনীতি দুর্বল হলে সামাজিক অপরাধ তীব্র আকার ধারণ করে। সুতরাং বুঝা যায় যে, অপরাধের সাথে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক সক্ষমতার একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সরকার পতনকে কেন্দ্র করে দেশের মানুষের মাঝে স্বস্তি মিললেও, এই স্বস্তি স্থায়ী হয়ে উঠেনি। বরং দিন দিন অপরাধের প্রবণতা বেড়েই চলছে। সম্প্রতি পত্রপত্রিকার খবরাখবর থেকে জানা যায়, দেশে সামাজিক সহিংসতার ঘটনায় চলতি মাসের ২৭ দিনে সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি খুন হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশে প্রায় প্রতিদিনই সামাজিক নানা কারণে হত্যার ঘটনা ঘটছে। নিরপরাধ আশ্রয় হিসেবে বিবেচিত গৃহকোণও অনিরাপদ। সেখানেও হামলা চালিয়ে হত্যা করা হচ্ছে মানুষ। এসব ঘটনায় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারাও রেহাই পাচ্ছেন না। কিছু ক্ষেত্রে বলি হচ্ছে নারী ও শিশুরা। আর্থ-সামাজিক ও মনোগত পরিবর্তনের পাশাপাশি নৈতিক অবক্ষয়কে এর জন্য দায়ী করছেন অপরাধ ও সমাজ বিশ্লেষকরা। পুলিশ সদর দফতরের অভিযোগ, মানুষ আগের চেয়ে বর্তমানে অনেক সহিংস হয়ে উঠেছে। এসব ঘটনায় পুলিশও রেহাই পাচ্ছে না। হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ৪ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৪৮ জন নিহত হয়েছে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, এরা সবাই হত্যার শিকার হয়েছে। নারী শিশু অপহরণ ও ধর্ষণ, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের পাশাপাশি পারিবারিক বিরোধের জের ধরেও হত্যার ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। সাবেক সরকারের পতনের প্রেক্ষিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দুর্বল হয়ে পড়ে। এর জের ধরে অনেকেই অনেকভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। অপরাধীরা এখন মানুষ হত্যাকে তেমন বড় ধরনের ঘটনায় মনে করছে না। এর ফলে হত্যাকাণ্ড- বেড়েই চলছে। তবে কী এভাবেই চলবে দেশ? প্রশ্নটা সাধারণ মানুষের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে। এই সরকার নিযুক্ত হয়েছেন দেশের সুশৃঙ্খল পরিবেশ গড়ে তুলতে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় এখনো তেমন কোনো সুশৃঙ্খল পরিবেশ দেখেনি জনগণ। আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ওই বিষয়ে এখনি উদ্যোগী হওয়ার উপযুক্ত সময়। যত দ্রুত সম্ভব দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ স্বাভাবিক রূপে ফিরিয়ে আনতে হবে। এছাড়াও সামাজিক অপরাধীদের কঠোর আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশে আর একটাও হত্যাকাণ্ড-না ঘটুক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।