তিনি নিজেদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) অবসরপ্রাপ্ত সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো: সাইদুল ইসলাম বলেন, ঘরোয়া টোটকা চিকিৎসায় করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
প্রকৌশলী মো: সাইদুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেছেন এই মুক্তিযোদ্ধা। যা তিনি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন এর ফলে অনেকেই উপকৃত হবেন।
মো: সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার ছোট ভগ্নীপতি দুদক পরিচালক (উপসচিব) জালাল সাইফুর রহমান সম্প্রতি মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ছোট ভগ্নিপতি মহামারি করোনায় হঠাৎ আক্রান্ত হওয়া এবং তৎপরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পরিবার নিয়ে আমি মহা সংকটে পড়ে যাই!
কারণ পরিবারের প্রায় সকল সদস্য নিয়ে একই বিল্ডিংএ বসবাস রত থাকায় জালাল সাইফুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়! তার থেকে আমরা সবাই করোনায় সংক্রামিত হয়ে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারি ভেবে দিশাহারা হয়ে যাই!
কঠিন সংকটে তারা কীকরেছেন সেই বিষয়টিও তুলে ধরেছেন সাইদুল ইসলাম। বলেন, এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে তার সাহায্য প্রার্থনা করি। ইন্টারনেটসহ ফেসবুক এবং অন্যান্য বিষয়ে দুনিয়াব্যাপী সার্চ করে করোনা ভারাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয় নিয়ে বিভিন্নজনের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করি।
একটা ঘরোয়া চিকিৎসা আমার মনের মধ্যে আশার সঞ্চার করে যে, কলেরারোগ যেমন স্যালাইন খেলেই ভালো হয়ে যায় তেমনি এই টোটকা চিকিৎসাই হতে পারে করোনা ভাইরাস এর জন্য একটা প্রতিকার-প্রতিরোধ! সব সময় গরম পানি খাওয়া এবং সকল ঠান্ডা খাদ্য পরিহার করা।
এমন কি নরমাল পানিও খাওয়া যাবে না! দ্বিতীয়ত, গরম পানির ভাপ নাকের মধ্য দিয়ে টেনে লাঞ্চের মধ্যে প্রবেশ করানো, যাতে সেখানে কোন করোনা ভাইরাসের জীবাণু ঢুকে থাকলে তা নিঃশেষ হয়ে যায় বা নিস্তেজ হয়ে যায়! গরম পানির ভাপ নিতে হবে ১০ মিনিট প্রতিবারে, দিনে চারবার, মোট পাঁচদিন।
গরম পানির ভাপ নেওয়ার বিষয়ে, পানি ফুটিয়ে তা একটা বাটিতে ঢেলে একটা রুমাল অথবা এক টুকরা পরিষ্কার কাপড় বাটিতে রাখা ফুটন্ত পানির মধ্যে ডুবাতে হবে। তারপর তা উঠিয়ে গরম সহ্য হয় মতো অবস্থায় এলে রুমাল অথবা কাপড়ের টুকরা থেকে চিপে পানি ফেলে দিতে হবে।
তারপর সহ্য হয় মত অবস্থায় নাকে ধরে জোরে শ্বাস টানতে হবে। মুখ দিয়ে নিশ্বাস ছাড়তে হবে। ঠান্ডা হলে পুনরায় তা গরম পানির মধ্যে ভেজাতে হবে এবং প্রথমবারের মত নাক দিয়ে শ্বাস টেনে মুখ দিয়ে নিশ্বাস ছেড়ে দিতে হবে । এভাবে প্রতিবার সর্বমোট ১০ মিনিট করে সময় নিয়ে ভাব নেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার পরিবারের মধ্যে পহেলা এপ্রিল হতে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট কমপক্ষে ২০ বার নাকের মধ্যে ভাব নেওয়ার এই ঘরোয়া অর্থাৎ টোটকা চিকিৎসা করাতে থাকলাম। পাশাপাশি কিছুক্ষণ পরপর হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে নামাজ পড়ে বাসার মধ্যেই অবস্থান করতে থাকলাম।
পরে আইইডিসিআর কর্তৃক করোনা টেস্টের রেজাল্টে দেখা গেল আমরা যারা এই পদ্ধতি ফলো করেছি তাদের প্রত্যেকের রেজাল্ট এসেছে নেগেটিভ আর যারা করি নাই তাদের মধ্যে চারজনের করোনা টেস্টে এসেছে পজিটিভ!
পরে একই পদ্ধতিতে আক্রান্ত চারজনসহ আমাদের সকলের ঘরোয়া চিকিৎসা চলছে। আজকে চলছে পঞ্চম দিন। এরমধ্যে এখনো কারো কোন করোনার লক্ষণ দেখা যায় নাই ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর ওপর ভরসা করে আমি বলতে চাই এই ঘরোয়া অর্থাৎ টোটকা চিকিৎসা যদি আমরা সকলে একসাথে করি তাহলে বাংলাদেশ থেকে করোনাভাইরাস মুক্ত করা যাবে ইনশাল্লাহ!
সবাইকে করোনা মোকাবিলায় সচেতনতার পাশাপাশি ঘরোয়া এই টোটকা চিকিৎসা অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন আমরা সকলে মিলে একযোগে -একসাথে এই ঘরোয়া চিকিৎসা চালাই এবং আমাদের দেশকে করোনা ভাইরাস মুক্ত করি! এভাবে আমরা পুরো পৃথিবীটাকেই করোনা মুক্ত করি! আল্লাহ আমাদের সহায় হোন! আল্লাহ হাফেজ!
প্রকৌশলী মো: সাইদুল ইসলাম বলেছেন, আসুন, আমরা সকলেই সকলের অবস্থান থেকে নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী একে অন্যের উপকার করি। দেশের স্বার্থে সকলের স্বার্থে এই প্রাণঘাতিকে দেশীয় চিকিৎসা দিয়ে জয় করি।