ভিবি নিউজ মিডিয়াঃ
ডা. পরেশ চন্দ্র পাল লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার ৭নং বামনী ইউনিয়নের বামনী গ্রামে ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর তারিখে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা- মুকুন্দ কুমার পাল ও মাতা- সুকমারী পাল। রায়পুর মার্চেন্টস একাডেমির (সাবেক ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক গনেশ চন্দ্র পাল হলেন ডা. পরেশ চন্দ্র পালের বড় ভাই। তিনি বামনী ফ্রি প্রাইমারি স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে, ১৯৭০ সালে (প্রথম বিভাগে) এসএসসি, ১৯৭২ সালে চাঁদপুর কলেজ থেকে (প্রথম বিভাগে) এইচএসসি ও ১৯৭৩ সালে ভর্তি হয়ে ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা জেলার ফরিদগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ মেডিকেল অফিসার পদে চাকরি জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ২৬ বছর হাইমচর, মতলব, চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সর্বশেষ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ একই পদে থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।
সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের পর তিনি ফরিদগঞ্জ পৌরশহরে নিয়মিত প্র্যাকটিস করেন এবং গরীব রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। দীর্ঘদিন তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলায় অবস্থান করার কারণে এবং রোগীদের মনের মণিকোঠায় স্থান করে নেওয়ার কারণে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের ফরিদগঞ্জে একটি হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এরই ধারাবাহিকতায় নিজস্ব অর্থায়নে ও মালিকানায় ফরিদগঞ্জের কালির বাজার চৌরাস্তার সন্নিকটে লাইফ জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন, ২০২০ সালে। তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। মানব কল্যাণ, সেবার কথা ও মানুষের সুস্থতার কথা চিন্তা করে অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির দ্বারা গড়ে তুলেছেন লাইফ জেনারেল হাসপাতাল। যেখানে রোগীরা সকল ধরণের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারেন। দেশে উপজেলা পর্যায়ে সকল সুযোগ সুবিধা সম্বলিত অত্যাধুনিক ও মান সম্মত এত সুন্দর ও বহুতল বিশিষ্ট হাসপাতাল বাংলাদেশে খুব কম আছে । পেশাগত জীবনে তিনি সুন্দর মনের রুচিশীল একজন মহৎ হৃদয়ের মানুষ। তিনি বিভিন্ন সেবা ও কল্যাণধর্মী কাজে নিয়োজিত থেকে সমাজের সেবা করে
যাচ্ছেন। স্ত্রী: রঞ্জু রাণী পাল। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের পিতা।
সংগৃহীত আলোকিত রায়পুর 508