লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরী –
মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধির মাধ্যমে ফেরত দিতে চাইলে গড়িমসি অথবা ফেরত না নেওয়ায় উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ভোক্তাকে প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি লক্ষ্মীপুর ঔষধ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ও লক্ষ্মীপুর জেলার ঔষধ ব্যবসায়ীগণ।
সরজমিন ঘুরে এসে আমাদের এপ্রতিবেদক জানান,লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজার বাংলাদেশ ফার্মেসীর সত্ত্বাধিকারী ভাস্কর বসু রায় চৌধুরী জানান, আমার ফার্মেসীতে দীর্ঘ এক বছর যাবৎ নিন্ম লিখিত ঔষধ কোম্পানির ঔষধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও প্রতিনিধি গণ ঔষধ রিপ্রেসমেন্ট করেন নি। ফলে প্রতিষ্ঠানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধের পরিমান দিনদিন বেড়ে চলায় সেবা প্রার্থীরা দিশেহারা। দেখা যাচ্ছে- স্কয়ার, এরেস্টো ফার্মা, রেনেটা,কুমুদিনী, বেক্সিমকো, ইনসেপ্টা,অপসোিন,সিলকো, ইবনেসিনা,জেনােল, হামদর্দ, নাভানা, ড্রাগ, এসিআই, ইউনিমেড ইউনিহেল্থ,সোমাটেক, রেডিয়েন্ট ফার্মা, SK+F FARMA সহ আরো অনেক ঔষধ কোম্পানির ঔষধ মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে এভাবে প্রতি দোকানেই পাহাড় পরিমান স্তুপ হয়ে পড়েছে।
এই বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজারের ঔষধ বিক্রেতা ও স্থানীয় চিকিৎসক মোঃ হোসন আহম্মদ বলেন, বেক্সিমকো আমার থেকে প্রায় ৬/৭মাস পূর্বে অনেক মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ নিয়েছে কিন্তু তাহার সমপরিমান ঔষধ/ অর্থ অদ্যবদি দেয় নাই। তাই কি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ? তিনি আরো বলেন স্কয়ার ফার্মা মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আমি অনেক ঔষধ ডাষ্টবিনে ফেলে দিয়েছি। এই সমস্ত বাটপার কোম্পানীদের কি করা উচিত ?
মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ফেরত দেওয়ার জন্য আলাদা করে রাখার পরেও দীর্ঘদিন পড়ে থাকাতে সব সময় ভয় থাকে কখন ঔষধ প্রশাসন বা ভোক্তা অধিকার এসে জরিমানা করে।
এই বিষয়ে সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজার নিহা ফার্মেসীর সত্ত্বাধিকারী ও লক্ষ্মীপুরের দালাল বাজার কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল হোসেন পারভেজ বলেন আমরা যেমনি ঔষধ নগদ টাকা দিয়ে ক্রয় করি তেমনি ডেট এক্সপেয়ার বিল থেকে কেটে দিতে হবে বলে সকল ঔষধ বিক্রেতাদের আহবান জানান।
এই বিষয়ে উপশহর দালাল বাজারের ডাঃ সুমন মজুমদার বলেন,মহৎ উদ্বেগ নিয়েছেন, আশা করি আপনার এই প্রতিবেদনে ঔষধ ব্যাবসায়ী গন উপকৃত হবেন বলে আমার বিশ্বাস।