ভিবি নিউজ ডেস্কঃ
ছৈয়দ আন্ওয়ার-কোনো বৃহত্তর কাজ কারো একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এমনকি ক্ষুদ্র কাজেও কোনো না কোনো নেপথ্য সহযোগিতার ভূমিকা থাকে। সুতরাং রাষ্ট্রীয় কোনো দায়-দায়িত্ব পালন করা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।
এ বছরের আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্বাচিত হয় ‘সততার সঙ্গে উত্তরণ’। এ নিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর প্রথম আলো শিরোনাম করেছে, ‘দুর্নীতির রাশ টানা দুদকের পক্ষে কতটা সম্ভব।’ এই শিরোনামের প্রেক্ষিতে আজকের কলামের শিরোনাম_ এক হলে পারি, একা হলে হারি।
কথায় বলে, সর্ব অঙ্গে ব্যথা ওষুধ দিব কোথা। আমাদের রাষ্ট্রের এমন কোনো সেক্টর খুঁজে পাওয়া দায় যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতির বাসা নেই। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই দুর্নীতিকে দমন করার কাজেই নিয়োজিত দুর্নীতি দমন কমিশন। প্রতিষ্ঠানটি হরহামেশাই অনেক দুর্নীতির চালচিত্রই উদ্ঘাটন করে থাকে। গণমাধ্যমের বদৌলতে তা জনসমক্ষে প্রকাশও পায়। দেশজুড়ে সাড়া পড়ে যায় সমালোচনার। কিছুদিন দুর্নীতিবিরোধী তৎপরতাও চলে। কিন্তু কয়েকদিন পরেই কোনো এক অদৃশ্য শক্তির নির্দেশনায় বিষয়টি কেমন দুর্বল হতে থাকে। একপর্যায়ে ধামাচাপার কাজ চলতে থাকে। তাছাড়া উল্লেখযোগ্য কথাটি হলো_ বরাবরই একটা দুর্নীতির খবর আরেকটিতে ঢাকা পড়ে যায়। অথচ প্রতিটি অনিয়ম-দুর্নীতির খবর প্রকাশ পাওয়ার পর আমাদের রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায় থেকে আশ্বাস বাণী আসে_ ‘অপরাধী যেই হোক, কেউ ছাড়া পাবে না।’ ছাড়া পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ আসল দোষী ধরাই পড়ে না। প্রশ্ন এখানেই যে, কোনো অপরাধীকে ধরতে হলে কারো একার পক্ষে কি সম্ভব? রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিগুলোতে রাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। তেমনই যেকোনো দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে শুধু দুর্নীতি দমন কমিশন আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাই সব নয়, সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা ছাড়া কোনো অভিযানই ফলপ্রসূ হয় না।
পুনশ্চ ঃ দুর্নীতির রাশ টানা দুদকের একার পক্ষে সম্ভব নয়। দুর্নীতি দমনে দায়িত্বশীলদের সহযোগিতা কাম্য।