সংবাদ শিরোনামঃ
লক্ষ্মীপুরে মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার ২০ মাসের কিছু কথা Good-humored, modern tasteful, tidy, elegant easy manner, worker friendly, giving strong political leadership General Secretary of Laxmipur District Awami League, MP of Laxmipur 2 Constituency Nooruddin Chowdhury Nayan greetings and congratulations in advance saradia Durga-Puja. Vashkar Basu Roy Chowdhury, Kaman Khola Zamindar House Puja Mandap. Headquarters, Lakshmipur লক্ষ্মীপুরে কমান্ডো স্টাইলে প্রবাসীর বাউন্ডারি -প্রাচির’ ভাংচুর ও লুটপাট ? লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিকে হেনস্তাকারি দিপন কারাগারে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতিতে স্কুলে যাওয়ার পথে ছাত্রীকে অপহরণ মামলার মূল হোতা সাগর সহ চারজন গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি এমপি নুরউদ্দিন চৌধুরী রামগতিতে জোড়া খুনের মামলার আসামী গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ননী গোপাল ঘোষ ও অধ্যাপক শ্রীমতি আরতি ঘোষের সাথে ছাত্র নুরউদ্দিনের স্বাক্ষাত প্রকৌশলী খোকন পালের বাবার পারলৌকিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানে লক্ষ্মীপুর ২ আসনের এমপি এড: নুরউদ্দিন চৌধুরীর অংশগ্রহণ লক্ষ্মীপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী ২০২৩ এর উদ্বোধক জেলাপ্রশাসক সুরাইয়া জাহান পরিবেশ রক্ষায় গাছ প্রয়োজন, ভি বি রায় চৌধুরী লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানা পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেনের জেলা পুলিশ কর্তৃক বদলীজনিত বিদায় সংবর্ধনা পাওনা টাকা চাইতে তেড়ে এসে হুমকি-দমকি থানায় অভিযোগ লক্ষ্মীপুরে আলিফ -মীম হাসপাতালের অফিস রুম অনাড়ম্বর আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আমির হোসেন ঔষধ কোম্পানি গুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ফেরত নিতে গড়িমসি করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভোক্তারা
অবশেষে বৃদ্ধাশ্রমেই গেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের

অবশেষে বৃদ্ধাশ্রমেই গেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের

ভিবি নিউজ ডেস্কঃ

তিন সন্তানের মধ্যে মেয়ে সবার বড়, নাম রেজিনা ইয়াছমিন আমেরিকা প্রবাসী। বড় ছেলে উইং কমান্ডার (অব.) ইফতেখার হাসান। ছোট ছেলে রাকিব ইফতেখার হাসান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। জীবনে এত কিছু থাকার পরও আজ তার দু’চোখে অন্ধকার। থাকেন আগারগাঁও প্রবীণ নিবাসে।

দীর্ঘ ১৭ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন সুনামের সঙ্গে। ২০০৬ সালে অবসর নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক (অব.) ড. এম আব্দুল আউয়াল (৭০)। অবসরের পর কিছুদিন ভালোই চলছিল তার। অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের সংসারে দুই ছেলে, এক মেয়ে।

আব্দুল আউয়াল জানান, শিক্ষকতার আগে ১৯৬৫-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এটমিক এনার্জিতে চাকরি করেছি। এরপর শিক্ষকতা। জীবনে অনেক টাকা-পয়সা উপার্জন করেছি। ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়েছি । এর পর ছেলে-মেয়েরা আমার খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়।

কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেটে নিজের ফ্ল্যাট ছিল আব্দুল আউয়ালের। এছাড়া পল্লবীতেও বেশ কিছু জমি ছিল। কিন্তু এসব বড় ছেলে কৌশলে বিক্রি করে টাকা পয়সা নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন, আক্ষেপ করেই বলেন অধ্যাপক আউয়াল।

তিনি বলেন, ওরা আমাকে এতো কষ্ট দেয় কেন। আমাকে নিয়ে এতো ছলচাতুরি করে কেন? বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে উঠেন অধ্যাপক। তিনি বলেন, আমি কি এই জন্য এতো কষ্ট করে ওদের মানুষ করেছিলাম?

অধ্যাপক আউয়াল বলেন, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর কিছু দিন বড় ছেলের সঙ্গেই থাকতাম। ছেলের সংসারে থাকার সময় জানতে পারি ছেলে ও বউয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। একদিন বাসায় থাকা অবস্থায় বউয়ের মুখে গালি শুনে বাসা থেকে নেমে আসি। আর ফিরে যাইনি। ওরাও কেউ খোঁজ নেয়নি। ছোট ছেলে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে আসে ২০১৪ সালে। এসে মিরপুর-১ নম্বরে একটি দোকানে আমার সঙ্গে দেখা করে কথা বলে। সেখানে গেলে আমাকে জানায় তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আমি ওর বাবা অথচ আমাকে জানালও না যে বিয়ে করতে যাচ্ছে। বিয়ে করে আবার চলে যাবে, একথা শুনে ছেলের বউকে দেখতে চান তিনি। কিন্তু তার সাথে দেখা করা যাবে না বলে জানায় ছেলে।

এ অধ্যাপক আফসোসের সুরে বলছিলেন, অথচ এই ছেলের পড়ালেখার জন্যও পেনশনের টাকা থেকে ২৬ লাখ পাঠিয়েছি। সেই ছেলেও আমাকে কোনো দিন ফোন করে না। মাঝে মাঝে ইমেইলে চিঠি লেখে।

অতি উচ্চ শিক্ষিত হতে গিয়ে আমরা দিন দিন আরও অমানুষ হয়ে যাচ্ছি। অথচ অনেক গরিব,মূর্খ আছে যারা বাবা মাকে নিয়েই একসাথে থাকে। তাহলে তারা কি আমাদের মতো মুখোশধারী শিক্ষিতের চেয়ে ভালো নয়? তাই উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা ও মানুষ্যত্ববোধটা ও সবার শিক্ষাগ্রহন করা উচিৎ।